ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : হঠাৎ করেই যেন আগুন ধরেছে ঈশ্বরদীর বাজারে। একসাথে বেড়ে গেছে সবজি, মাছ ও মুরগির দাম। ক্রেতারা রোজার বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। খেটে খাওয়া মানুষেরা বাজরে যেয়ে চোখে সর্ষেফুল দেখছেন। ৩০ টাকার বেগুন কেজি প্রতি ৫০-৬০ টাকায় উঠেছে। ১৮০ টাকা কেজির ফার্মের মুরগির (সোনালী) দর ২৮০ টাকা। সুস্বাদু তাজা মাছ কিনতে গেলেই কেজি প্রতি বেশি গুনতে হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। সব মিলিয়ে রোজার কাঁচাবাজারে গিয়ে গত মঙ্গলবার অনেকটাই অসহায় ছিলেন সীমিত আয়ের মানুষ।

পবিত্র রমজান মাসে স্বল্প আয়ের মানুষও চেষ্টা করেন সোহরিতে ভালো কিছু খেয়ে রোজা রাখার। আবার সারাদিন রোজা রেখে রাতে ভালো খাবার না পেলে তৃপ্তি হয় না। কিন্তু যেভাবে দাম বেড়েছে, তাতে সবজি, মাছ ও মাংস কেনা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। অবশ্য গরুর মাংস, ব্রয়লার মুরগি, তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের দাম খুব একটা বাড়েনি। গরুর মাংস অনেক আগে থেকেই ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল। যা সাধারণের নাগালের বাইরে। তবে ইফতারে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ছোলা ও চিনির কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে সোনালী মুরগীর। এক সপ্তাহ আগেও সোনালী মুরগীর কেজি ছিল ১৮০ টাকা। এখন তা বেড়ে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে ৩০ টাকা কেজির পিয়াজ ১০ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা হয়েছে। ৩০ টাকার বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। এছাড়া শসা ৩০ থেকে ৫০, কাঁচা মরিচ ৩০ থেকে ৪০, আদা ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঈশ্বরদী বাজারের কাঁচামালের ব্যবসায়ী আমিন উদ্দিন জানান, রোজার মাস শুরুর ২-৩দিন আগে থেকে পাইকারী বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচা পন্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।

মুলাডুলি পাইকরিী কাঁচা বাজারের আড়তদার শহিদুল ইসলাম বলেন, কাঁচা মালের কোনো ঘাটতি নেই। মোকামে প্রচুর সরবরাহ রয়েছে। কিন্তু পাইকারী ব্যবসায়ীরা রমজানের অজুহাতে কাঁচাপন্যের কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

বাজারে করতে আসা জনৈক ক্রেতা বলেন, রমজানের প্রথম দিন শুক্রবার তিনি বাজারে এসে চড়া দামে জিনিসপত্র কিনেছেন। এখনও ৫ রোজাতেও একই অবস্থা বিরাজমান। সরকারি ব্যবস্থাপনায় মূল্য পর্যবেক্ষণ না করায় অধিক মুনাফার আশায় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়ে ব্যবসায়ীরা ফায়দা লুটছেন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

(এসকেকে/এসপি/মে ২২, ২০১৮)