মোঃ সুমন হুসাইন, বেনাপোল : বেনাপোল বন্দরে পুড়ে যাওয়া ভারতীয় ট্রাকের ক্ষতিপূরণসহ বেনাপোল বন্দরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানসহ পাঁচ দফা দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট মেইনটেন্যান্স কমিটি। ফলে দু’দেশের দু’পাশে শতশত আমদানি-রফতানি পণ্যবাহী ট্রাক দাড়িয়ে আছে পণ্য নিয়ে ঢোকার অপেক্ষায়।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২০ জুন তারা এক পত্রে ২৫ জুনের মধ্যে তাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে মঙ্গলবার (২৬ জুন) সকাল থেকে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দেওয়ার কথা পত্রে জানান।সোমবার (২৫ জুন) বিকেলে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে সমাবেশ করে পেট্রাপোল সীমান্তে বৈদেশিক বাণিজ্যের সংশ্লিষ্ট সমিতি সমূহের যুক্ত মঞ্চ নামের ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট মেইনটেন্যান্স কমিটি। সেখান থেকেও মঙ্গলবার সকাল থেকে এই লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। এ সময় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ থাকার ঘোষণাও দেওয়া হয়।

ধর্মঘটের সমর্থনে মঙ্গলবার সকালে বেনাপোল চেকপোস্টের বিপরীতে ভারতীয় পেট্রাপোল চেকপোস্টে সমাবেশ করছেন ভারতীয় বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।তাদের দাবিগুলো হলো গত ৩ জুন বেনাপোল বন্দরে অগ্নিকান্ডে যে সাতটি ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার ক্ষতিপূরণসহ অবিলম্বে ট্রাক ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বন্দরে যেসব ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করবে সেগুলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খালি করে পুনরায় ভারতে ফেরত দিতে হবে। বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালি করতে যেয়ে ভারতীয় ট্রাক থেকে পণ্য চুরি হলে তার দায়িত্ব ভারতীয় চালক বহন করবে না।

বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালি বা চালান সহি করার কোনো খরচ ভারতীয় চালক বহন করবে না। বেনাপোল বন্দরে পার্কিং ও পণ্য গুদামে সিসি টিভি ক্যামেরা এবং চালকের জন্য শৌচাগার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে।বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক এমদাদুল হক লতা জানান, তাদের কাছ থেকে ধর্মঘটের চিঠি পাওয়ার পর সন্তোষজনক একটি সমাধানের জন্য আমরাও চিঠি দিয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের চেস্টা করার কথা ছিল। কিন্তু তারা সেই সুযোগ না দিয়ে সকাল থেকে আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। এখন এ ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই। সমাধানের জন্য আমাদের ডাকলে অবশ্যই যাবো।

বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম জানান, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। মঙ্গলবার আবারও ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে বৈঠক হওয়ার কথা থাকা সত্বেও তারা সেটা না করে আজ সকাল থেকে আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। তারপরও দু’পক্ষের আলোচনা একটা সমাধানে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

(এসএইচ/এসপি/জুন ২৭, ২০১৮)