আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : আগৈলঝাড়ায় বিদ্যালয়ের জমি দাতাই দখলদার হয়ে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে বাধা দেয়ায় দখলদার উচ্ছেদ করে উন্নয়ন কাজে সহায়তা চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রধান শিক্ষিকার আবেদন।

উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের ২৭নং ছোট ডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা তাহমিনা খানম জানান, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় স্থানীয় আব্দুল আলী খান, বাদশা খান ও ছত্তার খান বিদ্যালয়ের নামে ৫২শতক জমি দান করেন। বাদশা খান দাতা হিসেবে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতেও দীর্ঘদিন ছিলেন। বাদশা খান ৫২শতক জমি দান করলেও তিনি কমিটিতে থাকা অবস্থায় বিদ্যালয়ের নামে বর্তমান মাঠ জরিপে ৩৪শতক জমি রেকর্ড হয়। এদিকে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ওই জমির একটি অংশে তিনি দোকান ঘর নির্মান করে স্থানীয় আবিদ হাসান ও মনির কাজী নামে দুই জনের কাছে ভাড়া দিয়ে আসছেন।

বিদ্যালয়ের শিশুদের সড়ক দূর্ঘটনা থেকে নিরাপত্তা প্রদান করতে ও পাঠদানে মনোযোগী হতে সম্প্রতি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অর্থায়নে ১৫লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে বিদ্যলয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মান প্রকল্প অনুমোদন করে সরকার। অনুমোদিত সীমানা প্রাচীর নির্মান করতে গেলে সেখানে অবৈধ দখলদার হিসেবে বাধা দেন বাদশা খান। ফলে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ থমকে যাওয়ায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা তাহমিনা খানম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিদ্যালয়ের জমি অবৈধ দখলদার মুক্ত করতে প্রতিকার চেয়েছেন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিদ্যালয়ের সভাপতি জাহাঙ্গীর খান বলেন, সীমানা প্রাচীর নির্মানে স্কুল কমিটির সভায় অবৈধ দখলদারদের স্কুলের জায়গা ছাড়তে বলায় তারা তাতে সারা না দেয়ায় আইনগতভাবে আগানো হচ্ছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল হক তালুকদার বলেন, অভিযোগের কাগজ শুপারিশসহ নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহম্মেদ রাসেল জানান, অতি শিঘ্রই তিনি সার্ভেয়ার দিয়ে বিদ্যালয়ের জায়গা মেপে সীমানা নির্ধারন করবেন। সেখানে কোন অবৈধ দখলদার থাকলে তা উচ্ছেদ করে বিদ্যালয়ের জায়গায়ই সীমানা প্রাচীর নির্মান করা হবে বলেও জানান তিনি।

(টিবি/এসপি/জুন ২৮, ২০১৮)