রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে লেবেল প্লেইং ফিল্ড নেই বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

এ সময় প্রশাসনের বিরুদ্ধে হয়রানি অভিযোগ এনে নগর পুলিশের দুই ওসির প্রত্যাহার দাবি করেন বুলবুল। আগামী ৩০ জুলাই এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

লিখিত বক্তব্যে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছা ও নিরপেক্ষতা প্রয়োজন। এটি না থাকায় এখানে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি হয়নি। প্রচার-প্রচারণাসহ নির্বাচনী সকল কর্মকাণ্ডে শুরু থেকেইে আমি হয়রানির শিকার হচ্ছি। নৌকা প্রতীকের নেতাকর্মীরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, ১০ জুলাই বেলা ১১টার পর প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু ৯ জুলাই রাত থেকেই পুরো নগরী নৌকা প্রতীকের প্রচারপত্রে ছেয়ে গেছে। এমনভাবে ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন টাঙানো হয়েছে যাতে অন্য প্রতীকের প্রচারপত্র টাঙানোর সুযোগ নেই।

নৌকা প্রতীকের প্রচারপত্রের ব্যয় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বুলবুল। তিনি বলেন, এ দুই দিনে অন্তত চার কোটি টাকার প্রচারপত্র ছড়ানো হয়েছে। এ অর্থের উৎস জানতে চাই। এটিকে আচরণবিধি লঙ্ঘন উল্লেখ করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।

নেতকর্মীদের পুলিশি হয়রানির অভিযোগ করে বুলবুল বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর আগে থেকেই আমাদের নেতাকর্মীদের ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। ভীতি ছড়াতে গভীর রাতে বাড়ি বাড়ি হানা দিয়ে নেকর্মীদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সংবাদ সম্মেলন থেকে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার ওসি এবং নগর গোয়েন্দা পুলিশের ওসির প্রত্যাহার দাবি করেন বুলবুল।

নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে বুলবুল বলেন, নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ। খুলনা ও গাজীপুর সিটি নির্বাচন করে তারা সেটিই প্রমাণ করেছে। রাজশাহীতে এখন নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতেও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন। তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেন ।

নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার অভিযোগ করে বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, প্রচারণা শুরুর পর থেকেই নগরীর বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীরা নৌকা প্রতীকের কর্মীদের হামলা, ভাঙচুর, বাধার শিকার হচ্ছেন। কিন্তু এনিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে না কমিশন। এনিয়ে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান বুলবুল। একই সঙ্গে তিনি এসব অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচন সমন্বয়ক ও জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন তপু, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, নগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/জুলাই ১২, ২০১৮)