উজ্জ্বল হোসাইন : কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের মনপুরা গ্রামে হেনজী বাড়ির সালমা (১৭) নামে এক কলেজছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সালমা মনপুরা গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে। সে নূরুল আজাদ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী।

জানা গেছে, সালমা আক্তারের পেট ব্যথা ও গা জ্বালাপোড়া করছে এমনি রোগের কথা বলে গত সোমবার তাকে কচুয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর রাত ১০টার দিকে তাকে পুণরায় মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ কর্মরত ডাক্তার সোহেল রানা জানান, রাত ১০টার দিকে সালমাকে যখন পুণরায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তখন তার অবস্থা ছিলো শোচনীয়।

প্রেসার ছিলো প্রায় শূন্যের মাত্রায়। তখন ডাক্তারের চাপের মুখে সালমার অভিভাবকরা জানায়, সালমা ভুলক্রমে ইঁদুর মারার ঔষধ (গ্যাস ট্যাবলেট) খেয়েছে। শোচনীয় অবস্থায় সালমাকে কুমিল্লার কুচাইতলী হাসপাতালে ভর্তির জন্যে প্রেরণ করা হয়। কুমিল্লা নিয়ে যাওয়ার সময় (উপজেলার সুবিদপুর গ্রামের নিকট) পথিমধ্যে রাত সাড়ে দশটার দিকে সে মারা যায়।

কিন্তু স্থানীয় সংবাদকর্মীরা তার পরিবারের লোকজনকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায়, সালমা কোনো কিছু সেবন করেনি পেটের ব্যথায় স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ক’ব্যক্তি জানায়, ঘটনার একদিন আগে পার্শ্ববর্তী বালিয়াতলী গ্রামের দুই যুবক সালামাদের বাড়িতে গিয়ে তার সাথে কথা বলে এ সময় তার এক চাচাতো ভাই তাদের সামনে সালমাকে মারধর করলে সে অভিমান করে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। পরের দিনই সালমা মৃত্যুর পথ বেঁচে নেয়। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে পুলিশকে না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে সালমা আক্তারকে দাফন করা হয়।

কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মাহবুবুর রহমান জানান, সালমা আক্তার নামে কোনো কলেজছাত্রীর স্বাভাবিক কিংবা অস্বাভাবিক মৃত্যুর কোনো তথ্য কচুয়া থানা পুলিশ পায়নি। এদিকে সালমা বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বলে ব্যাপক গুঞ্জন ওঠেছে।

(ই্‌উএস/এসপি/জুলাই ১৭, ২০১৮)