বিনোদন ডেস্ক : জনপ্রিয় নাট্যনির্মাতা সালাহউদ্দিন লাভলুর পরিচালনায় মীর সাব্বির ও শারমীন জোহা শশী আলাদাভাবে নাটকে অভিনয় করলেও এবারই প্রথম তারা জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করছেন। সালাহউদ্দিন লাভলুর নির্দেশনায় সাব্বির ও শশী একসঙ্গে একটি টেলিফিল্মে কাজ করছেন। নাম ‘পায়েল’। এটি রচনা করেছেন কাজী শাহেদুল ইসলাম। আসছে ঈদে এটিএন বাংলায় প্রচারের লক্ষ্যে টেলিফিল্মটি নির্মিত হচ্ছে। শনিবার থেকে রাজধানীর অদূরে পূবাইলের ‘চটের আগা’য় টেলিফিল্মটির শুটিং শুরু হয়েছে।

সাব্বির ও শশীকে নিয়ে টেলিফিল্ম নির্মাণ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন লাভলু বলেন, ‘মূলত গল্পের প্রয়োজনেই দুজনকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করছি। দুজনই অভিনয়ের ব্যাপারে সবসময়ই খুব সিরিয়াস। আরও বেশি ভালো লাগে কাজের প্রতি তাদের দুজনের একাগ্রতা এবং দায়বদ্ধতা।’ মীর সাব্বির বলেন, ‘লাভলু ভাই এমন একজন নাট্যনির্দেশক, যার নাটক কিংবা টেলিফিল্মে কাজ করার জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকি। তিনি যখনই সিডিউল চান, আমি দেয়ার চেষ্টা করি মনেপ্রাণে। কারণ আমি মনে করি দশজন ভিন্ন পরিচালকের দশটি কাজ করার চেয়ে লাভলু ভাইয়ের একটি কিংবা দুটি কাজ দর্শকের কাছে আমাকে অন্যরকম উচ্চতায় পৌঁছে দেবে।’ শশী বলেন, ‘কোনো শিল্পীর যদি অভিনয় শেখার প্রবল ইচ্ছা থাকে আমি মনে করি লাভলু ভাইয়ের নির্দেশনায় বছরে দু’তিনটি নাটকে অভিনয় করা উচিত। কারণ তিনি শিল্পীকে অভিনয়ের ব্যাপারে এতটাই সহযোগিতা করেন যে শিল্পী অভিনয়ে নিজে থেকেই আগ্রহী হয়ে ওঠেন।’

মীর সাব্বির ও শশী প্রথম জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করেন মাসুম রেজার রচনায় ও সৈয়দ আওলাদের পরিচালনায় ‘কুলে প্রেম আমি বেনো জলে’ নাটকে। এরপর তারা দু’জন আশরাফী মিঠুর পরিচালনায় ‘সাহেব চান্দের ঈদ ভোজন’সহ আরও বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেন। সালাহউদ্দিন লাভলুর নির্দেশনায় মীর সাব্বির প্রথম অভিনয় করেন আবু সুফিয়ানের রচনায় ‘পানবাহার’ ধারাবাহিক নাটকে। এরপর ‘তিন গেদা’, ‘ছেলেটি নীরবে লে গেলো’, ‘রাসায়নিক প্রেম’, ‘ মানুষ’ , ‘শখ’, ‘জামাই পাগল’, ‘ জামাই আদর’সহ আরও অনেক নাটকে অভিনয় করেন। অন্যদিকে লাভলুর নির্দেশনায় শশী অভিনয় করেন প্রথম ধারাবাহিক নাটক ‘ঘরকুটুম’-এ। এরপর আরও বেশকিছু নাটকে অভিনয় করেন।

(ওএস/এইচআর/জুলাই ১৪, ২০১৪)