রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগর বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন তিনি।

এ সময় ভোটে নজিরবিহীন দুর্নীতির অভিযোগ এনে ফের নির্বাচন দাবি করেন ধানের শীষের এই মেয়র প্রার্থী। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নগরীর ১৩৮ কেন্দ্রে বিরতিহীন ভোট গ্রহণ হয়।

বেসরকারি ফলাফলে জানা গেছে, এক লাখ ৬৬ হাজার ৩৯৪ ভোট পেয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। আর বুলবুল পেয়েছেন ৭৮ হাজার ৪৯২ ভোট।

সংবাদ সম্মেলনে বুলবুল অভিযোগ করেন, নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। তিনি নিজেই নগরীর ইসলামিয়া কলেজ কেন্দ্র অনিয়ম ধরেছেন। নগরীর ২৭টি কেন্দ্র পরিদর্শন করে সবকটিতেই অনিয়ম পেয়েছেন তিনি। তারপও তিনি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের সঙ্গে জণনগণকে মুখোমুখি করতে চাননি। রাজশাহীবাসীকে ধোঁকা দিতেই এ নির্বাচন আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আমরা রাজশাহীতে দেখেছি প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার ভোটচুরিতে জড়িত। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ভোট ডাকাতিতে জড়িত। এটি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। কেবল নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সকারের মধ্য দিয়ে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব। নির্বাচনের অনিয়ম দুর্নীতির সুনির্দষ্ট অভিযোগ শিগগিরই নির্বাচন কমিশনে দেয়ার কথা জানিয়েছেন বুলবুল।

তিনি আরও বলেন, দেশে গণতন্ত্র আজ বিপন্ন, মানুষ আজ অসহায়। প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্র ভেঙে পড়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, দলটির কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফা, নগর সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, জেলা বিএনপির সভাপতি ও বুলবুলের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/জুলাই ৩০, ২০১৮)