আমতলীতে জাতীয় উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার তিন দিনব্যাপী চতুর্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলার (ডেভেলপমেন্ট ফেয়ার) উদ্বোধন করেছেন। রাজধানীর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ময়দানে এবং প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় একই সময়ে এই উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১১ টায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে দেশ ব্যাপী মেলার উদ্বোধন শেষে তিনি বরগুনার আমতলীতে অনুষ্ঠিত মেলায় উপস্থিত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও গণমানুষের সাথে মত বিনিময় করেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বরগুনা ১ আসনের সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভু, বরগুনা ১ আসনের সাবেক সাংসদ ও বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আনোয়ারুল নাসের, আমতলীর উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম দেলওয়ার হোসেন, পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানসহ ইউপি চেয়ারম্যান, জনপ্রতিনিধি, সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণির মানুষ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. মোখলেছুর রহমান।
শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমতলীর মানুষদের শুভেচ্ছা জানান। এর পর উন্নয়ন মূলক ভিডিওচিত্রে বরগুনাকে তুলে ধরা হয়। প্রধানমন্ত্রী একজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করলে অমিত রাসুল অপি তার সাথে যুক্ত হয়। এরপরে তিনি তৃনমূল পর্যায়ের নারী সুমিতা রানীর কথা শোনেন।
এ সময়ে প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, তৃনমূল পর্যায়েও কোন মানুষ বেকার থাকবে না। দারিদ্র থাকবে না। তিনি বরগুনাসহ আমতলীর মানুষকে আবারও শুভকামনা জানিয়ে বলেন, শীঘ্রই পায়রা বন্দর পরিদর্শনকালে আমতলীতে সফর করবেন।
এ সময় মেলায় উপস্থিত মানুষেররা আনন্দে করতালি দেন। আমতলীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হবার আগে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তির আগেই বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করে গড়ে তোলা হবে।
চতুর্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে বরগুনা জেলা প্রশাসনসহ ৫ টি উপজেলা প্রশাসন বর্ণিল সাজে উন্নয়ন মেলা প্রাঙ্গণগুলি সাজায়। রাতে ছিল ঝলমলে আলোকসজ্জা।
বৃহস্পতিবার সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে জেলা সদর ও উপজেলা শহরগুলোতে বর্নাঢ্য র্যালি করা হয়েছে। মেলাগুলোর বিভিন্ন স্টলে দপ্তর ও বিষয় ভিত্তিক উন্নয়নের তথ্য ও প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা চলছে। উন্নয়ন মেলার অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে চিত্রাঙ্কন, রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা উন্নয়নমূলক প্রামান্য চিত্র প্রদর্শনী প্রভৃতি।
(এন/এসপি/অক্টোবর ০৪, ২০১৮)