তাহিরপুর সীমান্তে ৫০মে.টন চোরাই কয়লা আটক
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট ও বালিয়াঘাট সীমান্তে বিজিবি টানা ১৩ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে ৫০মে.টন চোরাই কয়লা আটক করলেও চিহ্নিত চোরাচালানীদেরকে গ্রেফতার করেনি।
এ ব্যাপারে বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়,উপজেলার টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন চুনাপাথর কোয়ারী, শহীদ মিনার ও হাইস্কুলের ছড়াসহ মোট ৫টি চোরাই পথ দিয়ে পুলিশের সোর্স পরিচয়ধারী অস্ত্র ও ইয়াবা ব্যবসায়ী ল্যাংড়া বাবুল, বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী ইসাক মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া ও কালাম মিয়া ১বস্তা কয়লা পাচাঁরের জন্য টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই ইমামের নামে ২৫ টাকা,ডিবি পুলিশের নামে ২৫টাকা, টেকেরঘাট ও বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের নামে ৩০০টাকাসহ কয়লা পাচার মামলা নং-৯,জিআর-১৫৮/০৭এর আসামী আব্দুর রাজ্জাক ১বস্তা কয়লা থেকে ৫০টাকা চাঁদা নিয়ে চোরাচালানী আবুল মিয়া,জালাল মিয়া, আবু শামা, হেকিম মিয়াগংকে দিয়ে প্রতিদিনের মতো গতকাল ১২.১০.১৮ইং শুক্রবার রাত ৭টায় ভারত থেকে অবৈধ ভাবে ৬০মে.টন কয়লা ও তার সাথে বিপুল পরিমান মদ ও ইয়াবা পাচাঁর করে।
পাচারকৃত মালামালের মধ্যে ৬০মে.টন চোরাই কয়লা বিন্দারবন্দ গ্রামের ৮-১০টি বাড়িঘরের ভিতর ও চোরাচালানী হেকিম মিয়ার বাড়ির সামনে নদীর তীরে নিয়ে মজুদ করে রাখে। আর মদ ও ইয়াবা ল্যাংড়া বাবুলের লাকমা গ্রামের বাড়িতে ও জিয়াউর রহমান জিয়া তার সহযোগী মাদক সম্রাজ্ঞী আংগুরী বেগমের দুধের আউটা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে মজুত করে। অন্যদিকে একই সময়ে বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট ও লাকমা এলাকা দিয়ে চোরাচালানী কালাম মিয়া,জানু মিয়া,বাবুল মিয়া,আবুল মিয়াগং ভারত থেকে ২০মে.টন কয়লা ও ইয়াবা পাচার করে বিন্দারবন্দ গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী তেলিগাঁও, দুধের আউটা, ড্রাম্পের বাজারে নিয়ে মজুদ করে।
এই খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের টেকেরঘাট কোম্পানী কমান্ডার ফরিদ রাত ৮টা থেকে আজ ১৩.১০.১৮ইং শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত টানা ১৩ঘন্টা অভিযান চালিয়ে বিন্দারবন্দ গ্রাম থেকে ৫০মে.টন চোরাই কয়লা আটক করলেও বালিয়াঘাট ক্যাম্পের বিজিবি ও টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ কয়লা ও মাদকদ্রব্য আটকের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি এবং অস্ত্র পাঁচার মামলার আসামী ল্যাংড়া বাবুল, কয়লা ও মাদক পাচাঁর মামলার আসামী জিয়াউর রহমান জিয়া, কালাম মিয়া, জানু মিয়া, বাবুল মিয়াসহ তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে অস্ত্র মামলার আসামী ল্যাংড়া বাবুল বলেন,আমি হলাম এএসআই ইমাম ভাইয়ের সোর্স, আমাদের বিরুদ্ধে যারা বেশি বাড়াবাড়ি করেছে তাদেরকে ইতিমধ্যে মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দিয়েছি, তাছাড়া আমারও ২-৩জন সাংবাদিক আছে,পত্রিকায় লেখালেখি করলে কিছুই হবেনা।
এএসআই ইমাম বলেন, আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি,সীমান্ত চোরাচালান বন্ধ করার দায়িত্ব আমার না বিজিবির, আপনি বিজিবির সাথে যোগাযোগ করুন।
সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের টেকেরঘাট বিজিবির কোম্পানী কমান্ডার ফরিদ বলেন, সীমান্ত চোরাচালান বন্ধ করার জন্য অভিযান চালিয়ে অবৈধ মালামাল আটক করছি এবং চিহ্নিত চোরাচালানীদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
(জে/এসপি/অক্টোবর ১৩, ২০১৮)