ডেস্ক রিপোর্ট : প্রেমের প্রথম ধাপ হলো প্রস্তাব। আর এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছেলেদের দিক থেকেই আসে। তবে এখন কিন্তু মেয়েরাও কম যায়না। এই যে কিছুদিন আগেই তো রাজধানী ঢাকাতে একটি মেয়ে বেশ জোরেসোরে বিয়ের প্রস্তাব দিলো তার প্রেমিককে। তবুও এখনও অনেক মেয়েই লজ্জায় বিষয়টি চাপা দিয়েই রাখে। আসুন জেনে নেওয়া যাক মেয়েরা নিজ থেকে কিভাবে প্রস্তাব দিতে পারে তার পছন্দের ছেলেটিকে।

প্রথম দিনেই প্রস্তাব নয় : অনেক দিন ধরেই দেখে আসছেন ছেলেটিকে। ছেলেটিকে দেখার পর থেকেই বুঝতে পারছেন নিজের মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন তো এসেছেই। আর যদি এসব লক্ষণ হয় ভালোবাসার, তাহলে আর বসে থাকা কেনো। চেষ্টা করতে থাকুন কিভাবে প্রস্তাবটা করা যায়। তবে প্রথম দিনের আলাপেই প্রস্তাব দিতে যাবেন না যেনো। এতে কিন্তু সবকিছু বিগড়ে যেতে পারে। কিছুদিন সময় নিন। এরপর সময়-সুযোগ বুঝে করে ফেলুন প্রেম নিবেদন। তবে সব সময় যেমনটি থাকেন তেমনি থাকুন। কোনো গোলাপ, ফুল, কালারফুল বাতি নয়। চেষ্টা করুন রোমান্টিক পরিবেশ তৈরি করতে যেমন-প্রাকৃতিক পরিবেশ, ক্যান্ডেললাইট।

তার জন্য রান্না করুন : ছেলেটির পছন্দের কিছু রান্না করুন। তাকে ইঙ্গিতে জানিয়ে দিন শুধুমাত্র তার উদ্দেশ্যেই রান্না। এতে ছেলেটির মনে আপনার প্রতি ভালোবাসা জমতে বাধ্য। এমনকি সে বুঝেও যাবে কতটা ভালোবাসেন আপনি তাকে।

তার পছন্দকে প্রধান্য দিন : ছেলেটির পছন্দকে প্রাধান্য দিন। তার পছন্দের কিছু দিয়ে সারপ্রাইজ দিয়ে দিতে পারেন। এটি হতে পারে খাবার, কোনো জায়গা কিংবা গান। ছুটির দিন তাকে নিয়ে যেতে পারেন তারই পছন্দের কোনো জায়গায়। ছেলেটিকে জানিয়ে দিন আপনি তার সম্বন্ধে কতটুকু যানেন। এটি কিন্তু আপনার ভালোবাসা প্রকাশের বড় একটি মাধ্যম।

ভিডিও তৈরি করুন : আপনাদের ভালো কিছু মুহূর্ত নিয়ে একটি ভিডিও বানিয়ে ফেলুন। এখানে আপনার অনুভূতি জানাতে কিন্তু ভুললে চলবে না। কিছু রোমান্টিক শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করুন। পাশাপাশি করে ফেলুন আপনার ভালোবাসার নিবেদন। ভিডিওটি ব্যবহার করতে পারেন কোনো পর্টিতে।

ছেলেটির বাবা-মাকে খুশি রাখা : প্রস্তাব করা হলো। ছেলেটিও কিছুটা পজিটিভ। তবে ছেলেটি যদি বলে তার বিয়ের ক্ষেত্রে বাবা-মা’র সিদ্ধান্ত প্রধান্য পাবে। তাহলে কোমর বেঁধে নেমে পড়ুন তার বাবা-মাকে খুশি করানোর জন্য। বাবা-মাকে জানানোর চেষ্টা করুন তাদের আদরের ছেলেটিকে কতটুকু ভালোবাসেন আপনি। তার সঙ্গে বাকিটা জীবন কাটাতে চান। তার সুখে-দুঃখে পাশে থেকেই এগিয়ে যেতে চান। বাবা-মা সবসময় তার ছেলের খুশিই দেখতে চাইবেন।

(ওএস/এইচআর/জুলাই ১৮, ২০১৪)