ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত স্ত্রীকে রেখে পালিয়ে গেছে স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত সাড়ে দশটার দিকে। 

মৃত গৃহবধূর নাম সীমা আক্তার (২৫)। সে ঈশ্বরদীর দিয়াড় বাঘইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আবু রায়হান রাজেশের স্ত্রী। সীমার গলায় দড়ির দাগ রয়েছে। স্বজনদের দাবি সীমাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

সীমার মামাতো ভাই রনি জানান, ৫ বছর আগে বিয়ে হয়েছে এবং তাদের চার বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। যৌতুকের জন্য প্রায়ই সীমাকে স্বামী রাজেশ নির্যাতন করতো বলে সে অভিযোগ করে। রাজেশ । একটি বেসরকারি ঔষধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ সে কাজ করে। লোকমারফত খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে সীমাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় বলে বাবার বাড়ির লোকজন জানিয়েছে।

সীমাকে তার স্বামীই হাসপাতালে এনেছিলেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক যখন সীমা মারা গেছেন বলে রাজেশকে জানান, তখন সে সীমাকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়। সীমা ঈশ্বরদী শহরের শৈলপাড়া এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী নূর আলীর মেয়ে। বাবার বাড়ির লোকেরা তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করেছে। সীমার মৃত্যু খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে এসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ কাবেরি সাহা জানান, সীমা আক্তারের গলায় ফাঁসের দাড়ির দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।

(এসকেকে/এসপি/ডিসেম্বর ১১, ২০১৮)