টুথপেস্ট ছাড়া আমাদের একদিনও চলে না। এটি শুধু আমাদের দাঁতকেই সুরক্ষা দেয় না, বরং বিপদের সময়ে কাজেও লাগে। অনেক সময় সংসারে ছোটখাট অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। তখন তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দিতে এই টুথপেস্টের কোনো বিকল্প নেই।

তাই এবার অর্থসূচকের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হলো টুথপেস্টের ৯ গুণ সম্পর্কে:

১. পোকা-মাকড়ের কামড়ে শান্তি : পোকা-মাকড়ের কামড়ে জ্বালা-পোড়া কমাতে তাৎক্ষণিক টুথপেস্ট দারুণ কাজ দেয়। টুথপেস্ট ব্যবহার করে মশার যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
২. পোড়ার জ্বালা কমাতে : আগুনে বা ইস্ত্রিতে লেগে হাত পুড়ে গেলে দ্রুত সেখানে টুথপেস্ট লাগিয়ে নিন। এটি রান্নাঘরে ফার্স্ট এইড হিসেবে রেখে দিতে পারেন। সারা রাত পোড়া অংশে পেস্ট লাগিয়ে রাখলে তা প্রায় ভালো হয়ে যায়।

৩. আসবাবের দাগ তুলতে : পানি বা পানীয়ের দাগ থেকে শুরু করে যেকোনো দাগ আসবাবের সৌন্দর্য নষ্ট করে। এসব স্থানে টুথপেস্ট লাগিয়ে শুকনো কিছু দিয়ে ঘষুন। এরপর শুকালে মুছে ফেলুন। দাগ উঠে যাবে।

৪. ইস্ত্রির ধাতুর কালো দাগ তুলতে : আয়রন করার সময় পানি ব্যবহারের কারণে এর ফোকরগুলোতে কালো দাগ পড়ে যায়। টুথপেস্টে সিলিকা থাকে। তাই এটি দিয়ে আয়রনের ধাতব পাতটি ঘষলে এটিও চকচকে হয়ে যায়।

৫. চুল গোছাতে : চুলের জেলের মতো পদার্থ রয়েছে টুথপেস্টে। একে বলে ওয়াটার সল্যুবল পলিমার। এলোমেলো চুল গুছিয়ে নিতে যেভাবে জেল ব্যবহার করি, সেভাবেই পেস্ট ব্যবহার করে চুল পরিপাটি করে নিতে পারবেন।

৬. গহনা পরিষ্কার রাখা : টুথপেস্ট দিয়ে ধুয়ে নিলেসোনা, রূপা, হীরা, জহরত ইত্যাদি চকচকে হয়ে যাবে। এসব গহনায় পেস্ট দিয়ে সারা রাত রাখুন। তার পর সকালে উঠে হালকাভাবে পরিষ্কার করে নিন। তবে মুক্তা পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে টুথপেস্ট ব্যবহার না করাই ভালো।

৭. কাপড়ের কালচে দাগ দূর করতে : কার্পেটে দীর্ঘদিনের কালচে দাগ পড়লেপানি আর পেস্ট দিয়ে দাগের জায়গাটি ঘষে নিন। তার পর ব্রাশ দিয়ে ঘষুন। দেখবেন দাগ উঠে গিয়ে পরিষ্কার হয়ে যাবে। যেকোনো কাপড়ের দাগও পেস্ট দিয়ে ওঠানো যায়।

৮. গোসলের পানিতে বুদ্বুদ : বাথটবে গোসলের পানিকে ফেনিল করতে চান। হাতে পেস্ট নিয়ে পানিতে নিয়ে দুই হাত ঘষাঘষি করলেই বুদ্বুদে ভরে যাবে পানি। এতে চোখ জ্বলে না।

৯. নখের শক্তি বৃদ্ধি : দাঁত মাজার সময় নখে একটু পেস্ট নিয়ে ঘষা-মাজা করুন। দেখবেন নখগুলো আগের চেয়ে অনেক বেশি চকচক করছেন এবং এর স্বাস্থ্যও ভালো হয়ে যাবে।

(ওএস/এস/জুলাই ২০, ২০১৪)