নীলফামারীর চারটি আসনে ১৩জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত
নীলফামারী প্রতিনিধি : জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারীর চারটি আসনের ২০ প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী প্রার্থী মোট প্রদত্ত ভোটের মধ্যে এক-অষ্টাংশের চেয়ে কম ভোট পাওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিল ৮ জন। তাদের মধ্যে বিজয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আফতাব উদ্দিন সরকার (নৌকা) ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী রফিকুল ইসলাম (ধানের শীষ) ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী ৬ জন প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন-জাতীয় পার্টির জাফর ইকবাল সিদ্দিকী (লাঙ্গল), বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল গানী (গাভী), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম (হাতপাখা), জমিয়েতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মঞ্জুরুল ইসলাম (খেজুরগাছ), বাসদের ইউনুছ আলী (মই) ও বিএনএফের সিরাজুল ইসলাম (টেলিভিশন)।
নীলফামারী -২ (সদর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ৫ জন। তাদের মধ্যে বিজয়ী প্রার্থী আওয়ামী লীগের আসাদুজ্জামান নুর(নৌকা) ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ধানের শীষের মনিরুজ্জামান মন্টু ছাড়া বাকী ৩ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এরা হলো ন্যাশনাল পিপলস পার্টির রাবেয়া বেগম (আম), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী জহুরুল ইসলাম (হাতপাখা) ও স্বতন্ত্র এজানুর রহমান (ট্রাক)।
নীলফামারী -৩(সদর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাার্থী ছিলেন ৩ জন। তাদের মধ্যে মহাজোটের লাঙ্গল প্রতীকের মেজর (অবঃ) রানা মোঃ সোহেল ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের আজিজুল ইসলাম ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আমজাদ হোসের সরকার (হাতপাখা) জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরীগঞ্জ) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ৪ জন। তাদের মধ্যে বিজয়ী প্রার্থী মহাজোটের লাঙ্গল প্রার্থী আহসান আদেলুর রহমান আদেল ছাড়া তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সহ তিনজনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। তারা হলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী সিংহ প্রতীকের মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ ও ন্যাশনাল পিপুলস পার্টির আম প্রতীকের আব্দুল হাই সরকার।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিম বলেন,প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী কোনও প্রার্থী মোট প্রদত্ত ভোটের মধ্যে এক-অষ্টাংশের চেয়ে কম ভোট পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। নির্বাচনের নিয়মেই তাদের জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
(এস/এসপি/জানুয়ারি ০১, ২০১৯)