ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের লুটেরারা চোরেরও গডফাদার! লুটেরারা শহরের পুরাতন বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন জেলা গবাদিপশু প্রজনন কেন্দ্রের মূল্যবান লিকুইড নাইট্রোজেন গ্যাসসহ নানা দ্রব্য সামগ্রী চুরি ও পাচার কাজে জড়িতদের পৃষ্ঠপোষকতাই শুধু নয়, তাদের কাছ থেকে নিয়মিত বখরাও আদায় করে তারা। আর এই কাজে ওই প্রজনন কেন্দ্রের কর্মকর্তা কর্মচারীরা জড়িত বলেই এলাকার মানুষের অভিযোগ। 

গত সোমবার ওই প্রজনন কেন্দ্র থেকে লিকুইড নাইট্রোজেন গ্যাস ভর্তি দুইটি সিলিন্ডার পাচারকালে একালাবাসী ওই কেন্দ্রের কর্মচারী নুরুজ্জামানকে আটক করে। এ সময় তারা একটি রিক্সাভ্যান, দুইটি সিলিন্ডার ও একজন ভ্যান চালককেও আটক করে। পরে আটক দুই ব্যক্তিকে মালামালসহ কোতোয়ালি থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। অজ্ঞাত কারণে তাদেরকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এলাকাবাসীর বক্তব্য, এই চুরি ও পাচারের সাথে প্রভাবশালী লুটেরারা জড়িত।

লিকুইড নাইট্রোজেন গ্যাস হচ্ছে বেশ মূল্যবান একটি মেডিকেল সামগ্রী। এই গ্যাস গবাদিপশু প্রজনন কেন্দ্রে ব্যবহার করা হয় উন্নত গবাদিপশুর বীর্য সংরক্ষণ কাজে। লিকুইড নাইট্রোজেন গ্যাস ভর্তি আটক দুইটি সিলিন্ডারের মূল্য দুই লাখ টাকারও বেশি।

এলাকাবাসীর দাবি, ওই প্রজনন কেন্দ্রে সারা বছরই এমন চুরি পাচার লেগেই থাকে। চোর চক্রের বিরুদ্ধে রহস্যজনক কারণে পুলিশ বরাবর নীরব থাকে।

(পি/এসপি/জানুয়ারি ১৬, ২০১৯)