রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নার্সের অবহেলায় রেশমা আক্তার নামে এক নারীর সিজার করা নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় স্বজন ও ডাক্তারদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সোমবার দুপুরে অসুস্থ নবজাতক চিকিৎসাধিন অবস্থায় লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে মারা যায়। নবজাতকের অভিভাবক এ ঘটনার বিচারের দাবিতে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে রবিবার দুপুরে নবজাতকের পিতা চিকিৎসার অবহেলায় অভিযুক্ত নার্স ইয়াসমিন আক্তারকে জুতাপিটা করেন।

কেরোয়া গ্রামের ব্যবসায়ি আলমগীর মোল্যা সাংবাদিকদের জানান, গত শুক্রবার রাতে তার অন্তসত্বা অসুস্থ স্ত্রী রেশমা আক্তারকে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে ওই রাতে সিজারের মাধ্যমে তাদের একটি নবজাতক শিশু জন্ম নেয়। শনিবার সকালে শিশুটি অসুস্থ হলে তার হাতে স্যালাইন দিয়ে নার্স ইয়াসমিন আক্তার তার বাসায় চলে যায়। শিশুটির খোঁজ খবর না নেওয়ায় পুরো শরীরে পানি ঢুকে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিশুটির অবস্থার অবনতি দেখে ক্ষুদ্ধ পিতা আলমগীর মোল্যা উত্তেজিত হয়ে ওই নার্সকে প্রকাশ্য রোগিদের সামনে জুতাদিয়ে পিটিয়ে লাঞ্ছিত করেন।

পরে এ ঘটনা ডাক্তার কবিরকে জানালে তিনি দ্রুত শিশুটিকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেয়। অবশেষে শিশুটি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় সোমবার দুপুরে মারা যায়। পরে শিশুটির পিতা আলমগীর তার স্বজন ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করে বিচারের দাবি জানায়।

এ ঘটনায় নার্স ইয়াসমিন আক্তার বলেন, শিশুর চিকিৎসায় অবহেলা করা হয়নি। তার পরেও শিশুর অভিভাবক না বুঝেই জুতা হাতে নিয়ে পুরো হাসপাতালে নার্সদের ধাওয়া করে।

রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোস্তফা খালেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযুক্ত নার্সের বিরুদ্ধে ২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘটন করা হয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এমআরএস/জেএ/জুলাই ২১, ২০১৪)