উজ্জ্বল হোসাইন : চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামে শান্তা আক্তার (২৫) নামের এক অন্তঃসত্তা গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে কচুয়া থানা পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার সকালে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের চাঁদপুরের মর্গে পাঠিয়েছে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতার শ্বাশুড়ী দেলোয়ারা বেগম (৬০)কে আটক করে পুলিশ। গৃহবধু শান্তা আক্তার আত্মহত্যা করেছে, নাকি তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে এ নিয়ে এলাকায় মানুষের মাঝে নানান গুঞ্জন চলছে।

জানা গেছে, উপজেলার নলুয়া গ্রামের রহমত উল্লার মেয়ে শান্তা আক্তারের সাথে প্রায় ৩ বছর পূর্বে একই উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের হারুনুর রশিদের পুত্র বাহারাইন প্রবাসী রুবেল হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। রুবেল ছুটিতে এসে প্রায় ৬ মাস পূর্বে পুনরায় বাহরাইন চলে যান। নিহতার ভাই হৃদয় জানান, বিয়ের সময় তার ভগ্নিপতি রুবেলকে একটি মোটরসাইকেল, স্বর্ণ-গহনা ও বিদেশ যাওয়ার সময় ২ লক্ষ টাকা দেয়া হয়। বর্তমানে ৫ মাসের অন্তঃসত্তা গৃহবধু শান্তা আক্তারকে তার ননদী জামাই একই এলাকার কেরামত হোসেন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তার লাশ ঝুঁলিয়ে রাখে বলে শান্তার মা খোদেজা বেগম ও ভাই হৃদয় দাবী করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে কেরামত হোসেন এলাকা ছেড়ে গা-ঢাকা রয়েছেন।

এ ব্যাপারে কচুয়া থানার ওসি মোঃ আতাউর রহমান ভূঁইয়া বলেন, খবর পেয়ে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে চাঁদপুরে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে তিনি জানান।

(ইউএইচ/এসপি/জানুয়ারি ১৮, ২০১৯)