স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : নিঃশ্বাসেও যেন গরম হাওয়ার আনাগোনা। বিছানায় শুধু এপাশ ওপাশ ছাড়া গতি নেই। ঘুম যেন এসেও আসছে না। ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা যেন ক্রমেই বাড়ছিল। টপ টপ...টপ টপ.. হঠাৎ শৌচাগারের ভিতর থেকে জল পড়ার শব্দে গা ছমছম করে উঠল।

মনে হলো নলটা খোলা আছে। চমকে উঠে আলোটা জ্বালাতেই বন্ধ আওয়াজ। ফের নিস্তব্ধতা। মনের ভুল ভেবে ফের আলো নিভিয়ে শুয়ে পড়তেই আবার সেই আওয়াজ...টপ টপ...টপ টপ।

না এ কোনো ভূতের গল্পের পটভূমি না। এটা বাস্তব। লন্ডনের মর্যাদাপূর্ণ পাঁচতারা ল্যাঞ্জহাম হোটেলে এমনই নানা ভৌতিক, অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন বহু ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা।

এই হোটেলে থাকতে নারাজ খেলোয়াড় ও বান্ধবীরা আর সেই কারণে চলতি লন্ডন টেস্ট ম্যাচের সময়। পাঁচতারা এই ভুতুরে হোটেলে থাকতে তারা কিছুতেই রাজি নন। স্টুয়ার্ট ব্রড। ইংল্যান্ডের ফার্স্ট বোলার ব্রডের এহেন অভিজ্ঞতা হয়েছিল শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টেস্ট ম্যাচের সময়।

তার কথায়," আলো নেভালেই শৌচাগারের ভেতরে নল থেকে পানি পড়ার শব্দ আসছিল। আলো জ্বালাতেই আওয়াজ বন্ধ। সেদিন সারারাত ভয়ে ঘুমতে পারিনি। শেষমেশ আমার ঘর বদলের অনুরোধ জানিয়েছিলাম। বেইলি (ব্রডের বান্ধবী)ও বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিল। ভুতে প্রচণ্ড ভয় বলে মোইন আলির স্ত্রীও ওই হোটেলে থাকতে মানা করে দিয়েছিল।"

শুধু তাই নয়, আরও অভিজ্ঞতার কথা জানালেন ব্রড। বললেন, "চলতি ভারত টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন আমি রাতে ঠিক করে ঘুমতে পারছি। কিন্তু শ্রীলঙ্কা টেস্টের সময় আমার খুব অদ্ভুৎ সময় কেটেছে হোটেলের ঘরে।

একদিন রাত দেড়টা নাগাদ আমার ঘুম ভেঙেছিল। আমি স্পষ্ট অনুভব করেছিলাম ঘরের মধ্যে তৃতীয় কোনও ব্যক্তিও রয়েছে। কিন্তু কাউকে দেখতে পাইনি।"

১৮৬৫ সালে চালু হয় লন্ডনের এই পাঁচতারা হোটেলটি। বিশ্বের সবচেয়ে ভৌতিক হোটেলগুলির মধ্যে ল্যাঞ্জহাম হোটেলের নাম রয়েছে। এই হোটেলের ৩৩৩ নম্বর ঘরটিতেই সবচেয়ে বেশি এই ধরণের ভৌতিক কাণ্ডকারখানা অনুভূত হয়।

(ওএস/পি/জুলাই ২১, ২০১৪)