কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : সোমবার রাজধানীসহ দেশের আট জেলার ১১টি সরকারি হাসপাতালে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান চালায় দুদক। তবে দুদকের অভিযান শেষে স্থানীয়রা স্বাস্থ্য সেবা পাবে এমন আশা করলেও সেবার কোন পরিবর্তন আসেনি। 

প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার চিকিৎসকরা ঠিকমতো হসপিটালে আসেনি। সোমবার অভিযান চালানোর পরেও মঙ্গলবার কুমারখালী হাসপাতালে ১৯ জন চিকিৎসকের মধ্যে মাত্র চারজন উপস্থিত হয়েছেন। আর একজন রয়েছেন ছুটিতে। এটি কুমারখালী হাসপাতালের নিত্য দিনের চিত্র বলে জানা গেছে।

হসপিটালে ভর্তি কয়েকজন রোগি জানায়, এই হসপিটালে যারা চিকিৎসা নিতে আসে তাতা ডাক্তারদের কাছে মানুষ বলে মনে হয় না। ঠিকমতো ডাক্তাররা আসে না। নার্সদের ডেকেও পাওয়া যায় না। তারা সরকারী চাকরী করে, সেবা দিলেও বেতন পায়, না দিলেও বেতন পাবে।

এদিকে অভিযানের পর কুমারখালী হাসপাতালের অবস্থা জানার জন্য সাংবাদিকরা গেলে হাসপাতালের ডাক্তার ডাঃ মিঠুন চক্রবর্তী তাদের সাথে দুরব্যবহার করেন। এবং ছবি তুলতে নিষেধ করেন।

কুমারখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আরএমও ডাঃ এইস এম মাসুদ রুমী জানান, আমাদের জনবলের ঘাটতি রয়েছে যথেষ্ট তারপরও আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি সেবা মান নিশ্চিত করতে।

সাংবাদিকদের সাথে ডাঃ মিঠুন চক্রবর্তীর আচরণে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এর সাথে মোবাইলে আলাপ কালে তিনি বলেন ডাঃ মিঠুন চক্রবর্তী এমন আচরণ খুবই দুঃখ জনক বিগত দিনেও এমন অসৎ আচরণের কথা শুনেছি আমি আপনাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। এমন খারাপ সময় বিষয়টি আপনারা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ডাঃ রওশন আরা বেগম জানান, জেলায় স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকেও আমাদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধিতে কাজ করছি।

(কেকে/এসপি/জানুয়ারি ২২, ২০১৯)