ভোলা প্রতিনিধি : বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ ভোলার দৌলতখানের ১১ জেলে সন্ধান গত তিন দিনেও মেলেনি।

দুর্ঘটনার পর ১৫ জেলে ফিরে এলেও তাদের সহযোগীরা বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন, তাও বলতে পারছেন না উদ্ধার হওয়া জেলেরা। সাগরের স্রোত ভাসিয়ে নেওয়ায় ফলে জেলেদের সলিলসমাধির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে, হারানো স্বজনদের না পেয়ে তাদের পরিবারে চলছে কান্নার রোল। স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে সৈয়দপুর ও চরখলিফার বিভিন্ন গ্রাম যেন শোকে স্তব্ধ। সাগরে মাছ ধরে উপার্জিত টাকা দিয়েই এ সব পরিবারের ঈদের আনন্দ হওয়ার কথা থাকলেও সাগরেই যেন ভেসে গেছে তাদের এ আনন্দ।

বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যান ভোলার দৌলতখানের ১৮ জেলে। কথা ছিল এক সপ্তাহ পরেই ঘরে ফিরে আসবেন তারা। কিন্তু গত ২০ জুলাই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের কবলে তাদের ফিশিং বোটডুবির ঘটনায় ৭ জেলে উদ্ধার হলেও সাগরে ভেসে যায় ১১ জেলে।

এদিকে ট্রলারডুবির খবর জেলেপল্লীতে পৌঁছামাত্রই নিখোঁজদের পরিবারে চলছে কান্না আর আহাজারি। কিছুতেই তাদের কান্না থামছে না। সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা নেই কারও। স্বজন হারানোর শোকে স্তব্ধ সৈয়দপুর ও চরখলিফার বিভিন্ন গ্রাম।

নিখোঁজ জেলে আহম্মেদের স্ত্রী আসমা বলেন, ‘আমার ছেলেটা মাত্র দুই দিন আগে জন্মগ্রহণ করছে। সে তার বাবাকে দেখেনি।’ তার স্বামী এত তাড়াতাড়ি মরতে পারে না বলে কেঁদে ফেলেন তিনি।

নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘জেলেদের সন্ধানের জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। আশা করি, তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে।’

জেলা প্রশাসক মো. সেলিম রেজা জানান, নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানের জন্য কোস্টকার্ড ও নৌবাহিনীর একটি দল বঙ্গোপসাগর ও মেঘনায় সন্ধান চালাচ্ছে।

(ওএস/এইচআর/জুলাই ২২, ২০১৪)