উজ্জ্বল হোসাইন : কচুয়া উপজেলার নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক স্কুল শিক্ষার্থী অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৫৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ৭ জন প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করে বাড়ি ফিরেছে। এছাড়াও আরো ৪০/৪৫ জন স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা গ্রহণ করে। 

নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারাধন চন্দ্র ভৌমিক জানান, গতকাল মঙ্গলবার ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আলাউদ্দিনের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়–য়া কন্যা ফারিয়া সুলতানা হঠাৎ করে শ্রেণিকক্ষে ঘুরে পড়ে। পরে তার দেখাদেখি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জ্ঞান হারিয়ে শ্রেণিকক্ষে ঢলে পড়তে থাকে। এ অবস্থা চলে বিকেল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকরা অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত শিক্ষার্থীদেরকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে যান। এ ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।

খবর পেয়ে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা আফরোজ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুমন দে ও কচুয়া থানার ওসি (তদন্ত) শাহজাহান কামাল বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নেন এবং দায়িত্বরত ডাক্তার, নার্সদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানের আহ্বান জানান।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাঃ সোহেল রানাসহ মেডিকেল অফিসাররা জানান, আমাদের ধারণা প্রথম যে আক্রান্ত হয়েছে সে না খেয়ে বিদ্যালয়ে এসেছে। ক্ষুধার কারণে সে ঘুরে পড়তে পারে। তার এ অবস্থা দেখে ভয়-আতঙ্কে অন্যরা একের পর আক্রান্ত হতে থাকে।

তারা এটিকে মাস পেনিক (গণ আতঙ্ক) রোগ বলে দাবি করছেন। তারা আরো বলেন, আক্রান্তদের নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। উপযুক্ত চিকিৎসায় তারা দ্রুত আরোগ্য লাভ করবে।

(ইউএইচ/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৯)