আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : আগৈলঝাড়ায় ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেল দশ বছরের এক কিশোরী। বাল্য বিয়ের আয়োজন করায় কিশোরীর অভিযুক্ত চাচাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকার কথা জানিয়েছেন নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পূর্ব সুজনকাঠি গ্রামের ফিরোজ সরদারের ১৪ বছরের কিশোরী মেয়ে রুপা আক্তারের সাথে রুপার চাচা ফরিদ সরদার শনিবার রাতে তাদের ভাগ্নে র সাথে শরিয়া অনুযায়ি বিয়ে দেন। রাতে স্থানীয় হুজুর জামাল সরদার শরিয়া অনুযায়ি বিয়ে পড়ান।

রবিবার রুপাকে স্বামীর বাড়িতে তুলে দিতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তার চাচা ফরিদ সরদার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুশান্ত বালা’কে পুলিশসহ ঘটনাস্থলে পাঠান। বর পক্ষের লোকজন আসার আগে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যাবার পর তাদের খাবার আয়োজনের অনুষ্ঠান পন্ড হয়ে যায়। ঘটনার সত্যতা পেয়ে সমাজসেবা কর্মকর্তা ও এসআই আব্বাস উদ্দিন রুপার চাচা ফরিদ সরদারকে আটক করে বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করেন।

আদালতের পেশকার রমনী রঞ্জন সরকার জানান, ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাসের আদালতে আটক রুপার চাচা ফরিদ বাল্য বিয়েতে নিজের সম্প্রক্ততার কথা স্বীকার করায় তাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন। রায় ঘোষনার পর দন্ডপ্রাপ্ত ফরিদকে থানা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

(টিবি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯)