রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের রিপোর্ট অনুযায়ী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আবুল কালাম আজাদ একজন জালিয়াত এবং তিনি বিভিন্ন খাত থেকে অনেক টাকা আত্মসাত করে দন্ডনীয় অপরাধ করেছেন। আর সেই আবুল কালাম আজাদ এবার নিজেকে সাধারণ সম্পাদক দাবি করে সম্প্রতি তথাকথিত সাধারণ সভা করেছেন। তিনি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের নানাভাবে হেনস্থা করছেন। অথচ এখন আর অন্ধ সংস্থা বলে কোনো সংস্থা নেই। পরিবর্তিত ও অনুমোদিত সংস্থা হচ্ছে জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থা।

মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে একথা বলেন জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. কবির হোসেন। এ সময় তার স্ত্রী হালিমা খাতুন তার সাথে ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন শেখ আবুল কালাম আজাদ প্রতিবন্ধীদের টাকা আত্মসাতকারী জালিয়াত। তিনি যখন জাতীয় অন্ধ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তখন তার বিরুদ্ধে চার লাখ ৩৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। শিল্পী আক্তার নামের একজনের পরিচয়পত্র জাল করেন তিনি। সংস্থার কোষাধ্যক্ষকে বাদ দিয়ে তিনি ব্যাংকের টাকা তুলে নয় ছয় করেন। এসব বিষয়ে তদন্ত রিপোর্ট রয়েছে। সেই আবুল কালাম আজাদ এবার কেন্দ্র অনুমোদিত জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার নয় সদস্যের কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। তবু নিজের সাবেক পরিচয় ব্যবহার করে আবুল কালাম আজাদ এখনও প্রতারণা করছেন। তিনি সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেনকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। রাস্তাঘাটে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানে তাকে পিটিয়ে হাড়গোড় ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকিও দিচ্ছেন। এ বিষয়ে আবুল কালামের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন কবির হোসেন।

কবির হোসেন আরও বলেন, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্র আনোয়ারুল ইসলামকে সভাপতি ও তাকে সাতক্ষীরা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার নয় সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেয়। কিন্তু চতুর আবুল কালাম আজাদ আবারও এই সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের মিথ্যা পরিচয় দিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আবুল কালাম আজাদের এই ঘৃণ্য অপপ্রচারের নিন্দা জানান এবং একবই সাথে তিনি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেন।

জানতে চাইলে সাতক্ষীরা জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা দেবাশীষ সরদার জানান, ২০১৮ সালে দৃষ্টি প্রতিবন্ধি আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়। মানবিক কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলেও তার দেওয়া কমিটি গত বছর থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি।

(আরকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯)