নিউজ ডেস্ক : মানসিক চাপ, বিষণ্ণতা, শারীরিক অসুস্থতা, কাজের চাপ ইত্যাদি কারণে বেশিরভাগ সময়েই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অনেকেই আছেন সামান্য মানসিক চাপে একেবারেই ভেঙে পড়েন। আবার সামান্য অসুস্থতায় ঔষধ সেবন করতে দেখা যায় এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। কিন্তু তারপরও সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব হয় না।

আমরা অনেকেই জানি না আমাদের প্রকৃতি আমাদের কতোটা উপকার করে থাকে। বলতে গেলে আমাদের শারীরিক অসুস্থতা থেকে শুরু করে মানসিক সমস্যা সহ সকল কিছুর সমাধান প্রকৃতির মধ্যেই থাকে। আসুন জানি প্রকৃতির সেই অনন্য ভূমিকা সম্পর্কে।

প্রকৃতি আপনাকে খুশি রাখে
প্রকৃতির সাথে আমাদের মনের অনেক বড় একটি সংযোগ রয়েছে। লক্ষ্য করলে দেখবেন দিনের আলো ও বৃষ্টির সাথে আপনার মানসিকতারও পরিবর্তন ঘটে। প্রকৃতির যতো কাছাকাছি যাওয়া যায় ততোই মন ভালো থাকে। আপনি নিজেকে অনেক বেশি উৎফুল্ল পাবেন সবুজে ঘেরা পরিবেশ এবং সমুদ্রের কাছাকাছি কোনো স্থানে। তাই প্রকৃতি আপনাকে মানসিক শান্তি দেয়ার মাধ্যমে খুশি রাখেন।

মানসিক চাপ দূর করতে সহায়তা করে
প্রকৃতি মানসিক চাপ দূর করতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা যায় মানসিক চাপ ও বিষণ্ণতা ধরণের মানসিক ব্যাপারগুলোর সব চাইতে বড় ঔষধ হচ্ছে প্রকৃতির কাছাকাছি যাওয়া। গবেষকদের মতে যখন কেউ মানসিক চাপে থাকেন তখন মাত্র ১০ মিনিট একটি পার্কে হেঁটে আসা অনেক বেশি উপকারী। এতে করে মস্তিষ্কে ভালোলাগার হরমোন উৎপন্ন হয় যা মানসিক চাপ একেবারেই দূর করে দেয়।

প্রকৃতি আপনার দেহকে রাখে সুস্থ
সকালের আলোর ভিটামিন ডি আমাদের দেহে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করে। যা ভিটামিন ডি এর অভাব জনিত রোগের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে। এছাড়া বিশুদ্ধ বাতাসে নিঃশ্বাস নেয়া শ্বাসের নানা সমস্যা থেকে আমাদের রেহাই দেয়।

ঘুমের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করবে
সকালের সূর্যের আলো অর্থাৎ ভোরের শুভ্র আলো আমাদের দেহে একটি বায়োলজিক্যাল ঘড়ি তৈরি করে যা আমাদের দেহকে সময় অনুযায়ী কাজ করার জন্য প্রস্তুত করে ফেলে। আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠলে রাতে একটি নির্দিষ্ট সময় আপনাআপনিই ঘুম চলে আসবে। এবং তা সুখনিদ্রাই হবে।

প্রকৃতির মধ্যে রয়েছে রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা
আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে প্রকৃতির মধ্যে রোগ নিরাময়ের অদ্ভুত ক্ষমতাটি রয়েছে। লক্ষ্য করলে দেখবেন রোগীকে ভালো কোনো পরিবেশে নিয়ে যাওয়ার বা পরিবেশ পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তাররা। এর কারণ ভালো ও মনোরম পরিবেশের রয়েছে রোগ দ্রুত নিরাময়ের ক্ষমতা। গবেষণায় দেখা যায় যে রোগীকে চিকিৎসার পাশাপাশি ভালো একটি পরিবেশে রাখা হয় তিনি অন্যান্য রোগীর চাইতে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন।

মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়
প্রতিদিন মাত্র ১০/১৫ মিনিট একটি মনোরম পরিবেশে হাঁটা ও সময় কাটানো মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। এতে করে বিষণ্ণতা, মানসিক চাপ, অ্যাটেনশন ডিফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডার ধরণের সকল মানসিক সমস্যা থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে।

(ওএস/অ/জুলাই ২৪, ২০১৪)