রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে স্বাধীনতার ৪৮ বছর পার হলেও সংস্কার হয়নি পাকিস্তান সরকার নির্মিত সদর উপজেলার করটিয়ার লোহার ব্রিজটি। ঝুকিপূর্ণভাবে প্রতিদিন পাড়াপাড় হচ্ছে যাত্রীবাহি গাড়ী ও সা’দত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শত শত ছাত্রছাত্রী। যেকোন সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা।  

জানা যায়, ১৯৫২ সালে জাপানের মায়াজি আয়রন কোম্পানী এই ব্রিজটি নির্মাণ করেছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত ব্যাপক উন্নয়নের ছোয়া লাগলেও সংস্কার হয়নি এই ব্রিজটির।

করটিয়া আওয়ামীলীগ নেতা শাহ শফিউল আজম বাতেন জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ ঝুঁকিপূর্ন এই ব্রিজটি দিয়ে স্কুল পড়ুয়া কোমলমতি শিশুদের পাড়াপাড় হতে হয়। একটা গাড়ী আসলে অন্য একটি পাড় হতে পারে না। এ কারণে করটিয়া বাজারে সব সময় যানজট লেগেই থাকে।

এ ব্যাপারে করটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনু বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছর পার হলেও পাকিস্তানের নেইমপ্লেট ব্যবহৃত ব্রিজ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে শত শত স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের পারাপার হতে হয় এটা খুবই দুঃখজনক এবং হাইওয়ে সড়কে যখন যানজট পড়ে তখন উত্তরবঙ্গগামী গাড়ী করটিয়ার উপর দিয়ে চলাচল করে। ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যেকোন সময় ধ্বসে পরতে পারে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে টাঙ্গাইল সদর আসনের সাংসদকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস দেন।

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আ’লীগ মনোনিত প্রার্থী শাহজাহান আনছারী বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ এই ব্রিজটি অবহেলিত অবস্থায় আছে। এমপি মহোদয়ের সাথে কথা বলে ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার করা হবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল-৫ সদর আসনের সাংসদ আলহাজ্ব ছানোয়ার হোসেন বলেন, করটিয়া একটি ঐতিহ্যবাহি এলাকা। ওই ব্রিজটি দিয়ে হাজার হাজার মানুষ এবং করটিয়া সা’দত কলেজের ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াত। তাই অতি দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ন ব্রিজটি পুনঃ নির্মাণের ব্যবস্থা করব।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার ফারুখ হোসেন জানান, করটিয়ার লাল ব্রিজটি পুনঃ নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। অতি দ্রুত এ ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।

(আরকেপি/এসপি/মার্চ ২৩, ২০১৯)