গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারীদের পোষাক সরবরাহ এবং ভবন মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে কর্মচারীরা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে গত ২২ জুলাই লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগে বলা হয়, কর্মচারীদের পোষাক সরবরাহ না করেই ১ লাখ ৫৬ হাজার ১৪০ টাকা এবং ভবন মেরামতের কাজে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৪৮৮ টাকা বিল ভাউচার দিয়ে আত্মসাত করা হয়েছে। ৩০ জন কর্মচারী ওই অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে কর্মচারীদের মধ্যে পোষাক, জুতা, ছাতা ইত্যাদি সরবরাহের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গাইবান্ধার মেসার্স সিদ্দিকুর রহমানকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু তিনি কোনো মালামাল সরবরাহ না করেই স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে গত ১৩ মার্চ পুরো টাকা উত্তোলন করেন। টাকা উত্তোলনের পর চার মাস অতিবাহিত হলেও কর্মচারীদের মালামাল প্রদান করা হয় নি।
অপরদিকে বিদ্যুৎ বিতরণ অফিস, ষ্টোর বিল্ডিং, ব্যাচেলার ব্যারাক, আবাসিক ভবন, কন্ট্রোল রুমসহ বিভিন্ন অবকাঠামো গত বছর মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বগুড়ার সরদার কনস্ট্রাকশনকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু কোনো কাজ না করেই গত ১৩ মার্চ কর্তৃপক্ষের সাথে সমঝোতা করে ওই প্রতিষ্ঠানটি পুরো টাকা উত্তোলন করে। সিবিএ নেতা ও লাইনম্যান মাহবুবুর রহমান আকন্দ বলেন, নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ার পর পোশাকসহ অন্য সামগ্রী না পেয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে খোজ নিয়ে জানা গেছে, হিসাব রক্ষক, স্টোর কিপার, ও ঠিকাদারের লোকের যোগসাজশে ওই ঘটনা ঘটানো হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় কর্মচারীরা বিক্ষুব্ধ। এ ব্যাপারে গাইবান্ধা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশরী সুকুমার লাল সরকার বলেন, অভিযোগ সম্পর্কে তিনি জেনেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সাধারণ কর্মচারীদের অভিযোগ, বর্তমানে স্থানীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ কর্মচারীদের ওই অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে যোগাযোগ শুরু করেছেন।
(এএইচবি/এএস/জুলাই ২৪, ২০১৪)