রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : কাঁটার বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে আরফতেরনেছা ও তাঁর পরিবারকে। মানবেতর জীবনযাপন করছে পরিবারটি। চেষ্টা করে রাখা হচ্ছে তাকে একঘরে করে রাখার। ঘর থেকে বেরুতে দেয়া হচ্ছে না তাদেরকে।বাধ্য হয়ে ভরপুর বিলের পানি ভেঙে চলাচল করতে হচ্ছে তাদেরকে। জমি বিক্রয় না করায় তাদেরকে এ ধরনের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে তাদের পরিবারের দাবি।

চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশীর ছৈয়াল বাড়িতে। প্রায় এক সপ্তাহের অধিক সময় ধরে তাদেরকে এ অমানবিক পরিস্থিতির শিকার করা হয়েছে বলে সরেজমিন জানা যায়। মারধর ও হামলার ঘটনায় ওই নারী মামলা করায় হেনস্থা আরো বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় কয়েকজন সমাজপতির ইন্ধনে একই বাড়ির মকবুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
আরফতেরনেছা জানান, তাঁর ৬ শতাংশ ভূমি একই বাড়ির মকবুল ছৈয়ালের নিকট বিক্রয় ও রেজিস্ট্রি করে দেয়ার জন্য দীর্ঘদিন থেকে তাকে চাপ প্রয়োগ করে আসা হচ্ছিল। এতে তাঁর পরিবার রাজি না হওয়ায় ১০/১২দিন পূর্বে তাকে ও স্বামী রফিককে বেদম মারধর করে মকবুল ও তার পরিবারের লোকজন। কাঁটার বেড়া দিয়ে তাদের যাতায়াতের একমাত্র পথটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তারা এখন জীবন বাঁচাতে ভরা বিলের পানির মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন।

এ বিষয়ে জানার জন্য গেলে জনৈক বেলায়েত হোসেন হাওলাদার জানিয়েছেন, জায়গা রেজিস্ট্রি না দিলে কাটার বেড়া তুলে নেয়া হবে না। জমি মকবুলকে দিতেই হবে।

এ প্রসঙ্গে হাজীমারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আবুল খালেক বলেন, আমি গিয়ে কাঁটার বেড়া সরিয়ে দিয়েছি। আবারও বেড়া দেওয়া হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এমআরএস/জেএ/জুলাই ২৪, ২০১৪)