নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসে কর্মরত ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা গণবদলির আবেদন করেছেন। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শাহাদৎ হোসেনের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে তারা এই গণ বদলির আবেদন করে। জেলা সমাজসেবা অফিস এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, গুরুদাসপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেনের কর্মকান্ড নিয়ে ওই অফিসে কর্মরত ৯ কর্মচারীর বিরোধ বাধে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে অফিসের কাজে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। জেলা সমাজসেবা অফিস তাদের বিরোধ মিমাংসার উদ্যোগ নিয়েও কোন সুরাহা করতে পারেনি।। কর্মচারীদের অভিযোগ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করায় তিনি দুই কর্মচারীকে বাথরুমে অবরুদ্ধ করে রাখেন। জেলা সমাজ সেবা অফিস ঘটনা তদন্ত করার পর উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তাকে সর্তক করে দেয়।

তবে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, বাথরুমের ভিতরের বিভিন্ন স্থানে মানুষের বিষ্টা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার বিষয়টি দুই কর্মচারীকে দেখতে বলা হয়। অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিষয়টি জেলা সমাজ সেবা অফিস তদন্ত করেছে । কর্মচারীরা সরকারি কাজে অনিহা প্রকাশ করলে তাদের বিরুদ্ধে উর্ধতন কর্মকতার কাছে অভিযোগ করায় তারা এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে।

এদিকে স্থানীয় একটি সুত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে উর্ধতন কর্মকর্তার সঙ্গে বিরোধ অব্যাহত থাকায় অফিসের কাজকর্মে স্থবিরতা দেখা দিলে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস গত বুধবার কর্মচারীদের প্রত্যেককে ভর্ৎসনা করেন। এক পর্যায়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে কর্মচারীদের স্বেচ্ছায় বদলি নিয়ে চলে যাওয়ার কথা বলেন। একারণেই ৯ কর্মচারী একই কাগজে গণবদলির আবেদন করে বলে ওই সুত্রটি দাবি করে। এ বিষয়ে সাংসদ অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক শ্রী প্রসেন কুমার সরকার ৯ কর্মচারীর গণবদলির আবেদন পত্র প্রাপ্তি কথা স্বীকার করে জানান, ঘটনা তদন্তে বাগাতিপাড়া উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আব্দুল মতিনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি বৃহস্পতিবার তদন্ত কাজ শেষ করলেও প্রতিবেদন দাখিল করেনি। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির পর প্রয়োনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

(এমআর/জেএ/জুলাই ২৫, ২০১৪)