ডেস্ক রিপোর্ট : আমরা প্রত্যেকেই চাই কর্মক্ষেত্রে একটি ভালো অবস্থানে থাকতে। ভালো পজিশন, ভালো বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার প্রত্যাশা সবাই করি। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এই সবকিছু শুধু তখনই পাওয়া যাবে যখন আপনি নিজে হবেন পরিশ্রমী। অফিসের কাছ থেকে আপনি তখনই নানান রকমের সুযোগ-সুবিধা পাবেন, যখন আপনি প্রমাণ করে দিতে পারবেন যে কর্মক্ষেত্রে একজন মূল্যবান সম্পদ আপনি। একটা জিনিস সর্বদাই মনে রাখতে হবে, নিজের পেশাগত জীবনে বা কর্মক্ষেত্রে উন্নতি করতে হলে কোনো রকম ফাঁকিবাজি চলবে না।

আমার এই সমস্যা, সেই সমস্যা, এটা হয়েছে, সেটা হয়েছে এই ব্যাপারগুলো কর্মক্ষেত্রে এড়িয়ে যেতে পারতে হবে। জীবনে সমস্যা থাকবেই। সমস্যা আছে বলে কাজকর্ম বাদ দিয়ে বসে থাকা যাবে না। অফিস আর বাসা এক জায়গা নয়। অফিসে বাহানা দিলে নিজেরই ক্ষতি।


পারবো না/পারছি না/হবে না... এই কথাগুলো বাসায় রেখে আসা দরকার। এসব কথা যে সঙ্গে করে অফিসে আনবে, তার উন্নতি কখনো হবে না। এসব বদলে জানতে হবে চেষ্টা করছি/করে ফেলব/হয়ে যাবে বলতে ও বলার যোগ্যতা অর্জন করতে।


মেপে মেপে গুণে গুণে কাজ করার প্রবণতাটাও বাড়িতেই রেখে আসতে হবে। গুণে গুণে মেপে কাজ করে কেবল মাস শেষে মাইনে পাওয়া যায়। কিন্তু জীবনে বড় একটা কিছু করতে চাইলে সেটা কখনও সম্ভব নয়। অফিসের প্রয়োজনে যদি আপনি বাড়তি কাজ করতে না পারেন, তাহলে অফিসের আসলে আপনাকে প্রয়োজন নেই। কেউ ভুল ধরিয়ে দিলে তার প্রতি কৃতজ্ঞ বোধ করা উচিত। এই কারণে যে আমি যা জানতাম না, সেটা শিখতে পারলাম। এই শিখতে পারার মানসিকতা রাখতে হবে, শুধু শেখাতে পারা থাকলেই হবে না। নিজের ঊর্ধ্বতনদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখুন। মনে রাখবেন, তিনি যোগ্য বলেই আপনার ঊর্ধ্বতন। আর তাঁদের সাথে ইগো দেখাতে গেলে দিনশেষে ক্ষতি শুধু আপনার হবে।


নিজের ব্যক্তি সম্পর্কগুলোকে অফিসে আনবেন না কখনও। অফিস কাজের জায়গা। এখানে বন্ধুসুলভ সহকর্মী থাকা খুব ভালো। কিন্তু ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব করতে যাবেন না। নিজেকে সবসময় আপডেটেড রাখুন। আপনার কাজের সেক্টরে নতুন কী হচ্ছে না হচ্ছে সব শিখে রাখুন। উপকার হবে আপনারই। সবচাইতে জরুরি বিষয়, সময়কে মূল্য দিতে শিখুন। সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করুন, সময় হাতে রেখে কাজ শেষ করুন, সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত নিন। কেবলমাত্র তখনই আপনার উন্নতি সম্ভব হবে কর্মক্ষেত্রে।
তথ্য: ওয়েবসাইট।

(ওএস/এইচআর/জুলাই ২৬, ২০১৪)