কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুর জেলার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই)‘র এক এস আই‘র বিরুদ্ধে হয়রানী,ঘুষ গ্রহন ও প্রতিপক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সুষ্ঠ তদন্ত না করে মামলার বাদীর  পক্ষে মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন  কোটে দাখিল করা সহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে আজ সোমবার সকাল ১২টায় কাপাসিয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কাপাসিয়া উপজেলার দূর্গাপুরের চাটার বাগ গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে ভুক্তভুগী  প্রবাসী কাওসার ।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, গত ১৯১৭ সালে আমি প্রবাস জীবন কাটিয়ে বাড়ীতে এসে একই এলাকার দেইল গাও গ্রামের মোতাহার হোসেনের মেয়ে ইয়াসমীনকে ধর্মীয় শরিয়ত মোতাবেক তিন লক্ষ টাকা দেন মোহড়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বিয়ের ৬ মাস পর আমি ইরাকে চলে যাই। এর পর আমার স্ত্রী প্রতিবেশী হাবিবুল্লা‘র ছেলে শাকিলের সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত হলে গত বছরের ২২এপ্রিল-১৮ তারিখে রাতে নগদ টাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।

এ সংবাদ পেয়ে আমি বিদেশ থেকে চলে আসি দেশে। এর পর কাপাসিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। এবং ২৯-৫-২০১৮ তারিখে (মামলা নং-৪০/১৮)গাজীপুর জুডিশিয়াল আদালতে আমার স্ত্রীকে ফিরে পাওয়ার জন্য মামলা দায়ের করি কিন্ত সে মামলার কোন তোয়াক্কা করেনি আমার স্ত্রী ।

পরে আমার স্ত্রী ইয়াসমীন বাদী হয়ে আমার বিরুদ্ধে ১৫-১০-২০১৮ তারিখে একটি যৌতুকের মামলা দায়ের করেন গাজীপুর আদালতে।(মামলঅ নং-৩৯২/১৮) আদালত গাজীপুর জেলার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্ঠিগেশন (পিবিআই)‘কে তদন্ত করার দায়িত্ব দেন। পিবিআই অফিস থেকে এস আই বাবুল হোসেন দায়িত্ব মামলাটি তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়। এর পর থেকে শুরু হয় আসামী হযরানী দফা দফা আসমামী ক্ওাসারকে গাজীপুর অফিসে নিয়ে তদন্তের নামে হয়রানী ও নিযার্তন। নির্যাতনের এক পয্যায়ে একটু পানি চেয়ে ও পানি পাষন্ড পুলিশ অফিসারের কাছে।

এস আই বাবুল হোসেন পরে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। টাকা না দিলে তাকে মাদক মামলা ফাসানোর কথা এবং ক্রশ ফাযারে মেরে ফেলার হুমকি দেয় বলে ও সংবাদ সম্মেলনে জানান কাউসার। এ সব নির্যাতন থেকে বাচার প্রানের বিনিময়ে এস আইর কথায় কাউসার ৫০ হাজার টাকা দিতে রাজি হয়। তার কাছে রক্ষিত ৯,৮০০টাকা বিনিময়ে বাকী টাকা পরে দিবে এই মুচলেকা দিয়ে এস আইর হাতে থেকে রেহাই পায় কাউসার। তিনি এস আই বাবুল হোসেনের শাস্তি দাবী করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,কাউসারের বাবা আবুল কাসেম,মা জরিনা বেগমও প্রতিবেশী আবুল কালাম।

(এসকেডি/এসপি/মে ২৭, ২০১৯)