রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে শিপন (১৬) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। এসময় নিহতের বড় ভাই সেনা সদস্য আল আমিনও গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা উভয় ভাই রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কেরোয়া গ্রামের মোল্লার হাট এলাকার মালতিবাড়ীর প্রবাসী সামছুল ইসলামের ছেলে। শনিবার রাতে রায়পুর উপজেলার রায়পুর-পানপাড়া সড়কের মিয়া বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে।

রবিবার দুপুরে আহত আল আমিনকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় এবং নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত শিপন রায়পুর আল আরাফা মাদ্রাসায় নবম শ্রেণীর ছাত্র ও আহত বড় ভাই আল আমিন বান্দরবানের রুমা সেনা ক্যাম্পে সৈনিক হিসেবে কর্মরত। তিনি ঈদের ছুটিতে শনিবার সন্ধ্যায় নিজ গ্রামের বাড়িতে আসেন।

এলাকাবাসীর সুত্রে জানা যায়, বড় ভাই আল আমিনের রায়পুরে আসার কথা শুনে ছোট ভাই শিপন তার পাশের বাড়ীর প্রবাসী মনির আহম্মেদের ছেলে বখাটে বন্ধ মো. রাকিব ও তার বন্ধু বাসাবাড়ীর এলাকার মুরাদ হোসেনকে নিয়ে রায়পুরে আসে। পরে রাত ৯টায় ২ ভাইসহ ৪ জন একসঙ্গে বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হয়। পথে রায়পুর-পানপাড়া সড়কের মিয়া বাড়ির সামনে পৌঁছালে তাদেরকে ৮/১০ জন লোক ডাকাত সন্দেহ তাদের আটক গণপিটুনি দেয়।

এতে শিপন ও আল আমিন গুরুতর আহত হলেও রাকিব ও মুরাদ আহত হয়নি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে শিপন ও আল আমিনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রায়পুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থা শিপন মারা যায়। এঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষে থেকে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

এঘটনায় নিহত শিপনের বন্ধু রাকিবের বড় ভাই ফরহাদ হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমরা শুনেছি। রাকিবের বখাটেপনার কারণে গত চার মাস ধরে পরিবারের সাথে তার কোন সর্ম্পক নেই। তার অত্যাচারে তারাও অতিষ্ঠ।

রায়পুর থানার উপ পরির্দশক আবুল বাসার বলেন, গণপিটুনিতে নিহত শিপনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

(এমআরএস/জেএ/জুলাই ২৭, ২০১৪)