স্টাফ রিপোর্টার: দ্বিতীয় দফায় আরো ২২ পণ্যে নিম্নমান পাওয়ায় বাজার থেকে তুলে নিতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।

প্রথম দফা ৫২ পণ্যের পর দ্বিতীয় দফায় অবশিষ্ট ৯৩টি পণ্যের মধ্যে ২২টির নমুনা নিম্নমানের পেয়েছে বিএসটিআই। এরমধ্যে দু’টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল, ১১টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত এবং ৮টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স না থাকায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপর একটি প্রতিষ্ঠানের (ড্যানিশ ফুডস লি., নারায়ণগঞ্জ) লাইসেন্স আগেই বাতিল করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) বিএসটিআইয়ের পরিচালক (সিএম) প্রকৌশলী এস এম ইসহাক আলী পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

দ্বিতীয় দফার ২২ পণ্যের মধ্যে রয়েছে হাসেম ফুডসের কুলসন ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই এবং এস এ সল্টের মুসকান ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ, প্রাণ ডেইরির প্রাণ প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের ঘি, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের রাঁধুনী ব্র্যান্ডের ধনিয়া গুঁড়া ও জিরা গুঁড়া, চট্টগ্রামের যমুনা কেমিক্যাল ওয়ার্কসের এ-৭ ব্র্যান্ডের ঘি, চট্টগ্রামের কুইন কাউ ফুড প্রোডাক্টসের গ্রিন মাউন্টেন ব্র্যান্ডের বাটার অয়েল, চট্টগ্রামের কনফিডেন্স সল্টের কনফিডেন্স ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ, ঝালকাঠির জে কে ফুড প্রোডাক্টের মদিনা ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই, চাঁদপুরের বিসমিল্লাহ সল্ট ফ্যাক্টরির উট ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ ও চাঁদপুরের জনতা সল্ট মিলসের নজরুল ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ। এসব পণ্যের লাইসেন্স স্থগিত করেছে বিএসটিআই।

থ্রি স্টার ফ্লাওয়ার মিলের থ্রি স্টার ব্র্যান্ডের হলুদের গুঁড়া ও এগ্রো অর্গানিকের খুশবু ব্র্যান্ডের ঘি নিম্নমানের হওয়ায় কোম্পানি দু’টির লাইসেন্স বাতিল করেছে।

আরও আটটি প্রতিষ্ঠান বিএসটিআইয়ের কোনো লাইসেন্স ছাড়াই পণ্য বাজারজাত করছিল। তাদের নাম প্রকাশ না করে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়োমিত মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসটিআই।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পণ্যগুলোর মানোন্নয়ন করে পুনঃঅনুমোদন ব্যতিরেকে সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের পণ্য বিক্রি-বিতরণ ও বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন প্রচার হতে বিরত থাকার জন্য এবং সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারীগণকে বিক্রিত মালামাল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ প্রদান করা হল।’

রোজাকে সামনে রেখে বাজার থেকে ৪০৬টি পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে তার মান পরীক্ষা করে বিএসটিআই। গত ১ মে প্রথম ধাপে ৩১৩টি পণ্যের মান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে তারা। সেখানে ৫২টি ব্র্যান্ডের পণ্যকে নিম্নমানের বলে ঘোষণা করা হয়। তবে পরে কয়েকটি পণ্য মানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় বিএসটিআই।

এক্ষেত্রে নির্দেশ দেওয়া হয়, লাইসেন্স স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পণ্যের মান সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মানের সমপর্যায়ে রেখে বাজারজাত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। একইসঙ্গে লাইসেন্স বাতিল করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পণ্যের মানোন্নয়ন করে নতুন লাইসেন্স গ্রহণ ছাড়া পণ্য বিক্রি-বিতরণ ও বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের নির্দেশ দেওয়া হলো। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া।

(ওএস/পিএস/১১ জুন, ২০১৯)