বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার কালিকাবাড়ি গ্রামের মাধ্যমিক পাশ এক ছাত্রীকে (১৬) বিয়ের প্রলোভনে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগে আটক নৌ পুলিশের সদস্য মুস্তাকিন বিল্লাহকে (৩২) শনিবার আদালতের নির্দেশে বাগেরহাট কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। 

নৌ পুলিশের সদস্য মুস্তাকিন বিল্লাহ (৩২) রামপাল উপজেলার মোংলা-ঘষিয়াখালী নৌচ্যানেলের সন্নাসী নৌপুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। তিনি খুলনার তেরখাদা উপজেলার বারাসাত গ্রামের হাফেজ জামিল আহমেদের ছেলে।

মামলার বরাত দিয়ে রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান বলেন, মোংলা-ঘষিয়াখালী নৌচ্যানেলের সন্নাসী নৌপুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত নৌ পুলিশের সদস্য মুস্তাকিন বিল্লাহ’র সাথে প্রায় দুই মাস আগে চলতি শিক্ষাবর্ষে এসএসসি পাশ করা স্থানীয় এক কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পুলিশ সদস্য মেয়েটিকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিলে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

সম্প্রতি মেয়েটি ওই পুলিশ সদস্যকে বিয়ে করতে চাপ দেয়। রাত একটার দিকে নৌ পুলিশের সদস্য মেয়েটির সাথে দেখা করতে আসলে স্থানীয় লোকজন তাদের ধরে প্রথমে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে দেয়। পরে চেয়ারম্যান তাদের পুলিশে সোপর্দ করেন। এই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। শনিবার দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। নৌ পুলিশের সদস্য মুস্তকিনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) চিকিৎসক মশিউর রহমান জানান, কিশোরী ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা বাগেরহাট সদও হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।

(এসএকে/এসপি/জুন ২২, ২০১৯)