চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চাঁদার দাবিতে মুদি দোকানদারকে আটকে রাখায় মিজানুর রহমান বাপ্পী নামে এক যুবলীগ নেতাকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয় জনতা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে জনতার রোষানল থেকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।

চান্দগাঁও থানার ওসি সৈয়দ আব্দুর রউফ বলেন, মিজানুর রহমান বাপ্পী এক মুদি দোকানদারের কাছে চাঁদা চেয়েছিল। তিনি অপারগতা প্রকাশ করলে দোকানদার ও তার ভাইকে বাপ্পী আটকে রাখে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে জনতা উত্তেজিত হয়ে বাপ্পীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও জনতা হামলা চালায়।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে বাপ্পীর অনুসারী কয়েকজন গিয়ে কাজীরহাট বাজারের মুদি দোকানদার সাহাবউদ্দিনের কাছে চাঁদা দাবি করে। এসময় সাহাবউদ্দিন ও তার ভাই আলাউদ্দিন দোকানে ছিল। ঈদের আগের রাতে দোকানে ক্রেতার ভিড় ছিল।

মুদি দোকানদার চাঁদা দিতে পারবেনা বলে জানালে বাপ্পীর লোকজনের সঙ্গে তার বাকবিতন্ডা হয়। পরে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বাপ্পীর লোকজন সাহাবউদ্দিন ও আলাউদ্দিনকে ধরে নিয়ে বাপ্পীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আটকে রাখে। সেখানে দু’জনকে বেদম মারধর করা হয়।

কাজীরহাট বাজারের দোকানদারদের মধ্যে এবং আশপাশের এলাকায় এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শত, শত জনতা ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে জড়ো হয়। এক পর্যায়ে তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ‍হামলা চালিয়ে সাহাবউদ্দিন ও আলাউদ্দিনকে বের করে আনে। এসময় বাপ্পী বাধা দিলে তাকে গণপিটুনি দেয় জনতা।

খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বাপ্পীকে জনতার রোষানল থেকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। আহত সাহাবউদ্দিন ও আলাউদ্দিনকেও পুলিশ হেফাজতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

ওসি সৈয়দ আব্দুর রউফ বলেন, বাপ্পী, সাহাবউদ্দিন ও আলাউদ্দিন তিনজনই আমাদের হেফাজতে আছে। সুনির্দিষ্টভাবে লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

(ওএস/এটিআর/জুলাই ২৯, ২০১৪)