ভালোবাসা সম্পর্কে ৮টি বিচিত্র মজার তথ্য
নিউজ ডেস্ক : ভালোবাসার কোন নির্দিষ্ট সংজ্ঞা বা নিয়ম নেই। ভালোবাসা দুরন্ত, অসীম। ভালোবাসা এমন একটি অদৃশ্য ব্যাপার যা প্রতিটি মানুষের জীবনে কাঙ্ক্ষিত। ভালোবাসা বিহীন জীবন যেন মরুভূমিতে একলা পথিকের মতই, যে কিনা তৃষ্ণার্ত থাকে একটু ভালোবাসা পাবার আশায়। ভালোবাসা নিয়ে গান, কবিতার, উপন্যাসের শেষ নেই। চলুন তাহলে ভালোবাসা নিয়ে কিছু মজার তথ্য জানা যাক। এই সকল তথ্য গবেষণা এবং জরিপেরই ফলাফল।
১. আপনি জানেন কি, ‘love’ শব্দটির উৎপত্তি কোথায়? “love” শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ‘lubhyati’ (লুভায়াটি) থেকে। এর অর্থ হচ্ছে ইচ্ছা। এই শব্দটির ব্যবহার সব চাইতে বেশি মিউজিক জগতে।
২. একজন মানুষ কতবার প্রেমে পড়ে জানেন? বিয়ের আগে ও পরের হিসাবও কিন্তু বেশ ভিন্ন। বিভিন্ন গবেষণা এবং পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রত্যেক ছেলে মানুষ বিয়ের আগে অন্তত ৭ বার প্রেমে পড়েন এবং মেয়েরা পড়েন ৪ বার।
৩. বিয়ের আঙটি কোন আঙুলে পরানো হয় জানেন? খেয়াল করে দেখবেন বিয়ের আঙটি সব সময় অনামিকা আঙুলে পড়ানো হয়। এর কারণটা কি জানেন? এর কারণ হচ্ছে অনামিকা আঙুলের সাথে আমাদের হৃৎপিণ্ডের এর সংযোগ রয়েছে বলে ধরা হয়। যদিও মজার ব্যাপার হচ্ছে, ভালোবাসার ক্ষেত্রে হৃৎপিণ্ডের কোনো ব্যবহারই নেই!
৪. যখন একটি দম্পতি এবং প্রেমিকজুগল সামনে থাকেন তখন অনেক মেয়েই ছেলেটি বেশি সুন্দর হলে মনে মনে ভাবেন- “ছেলেটি এই মেয়েটাকে কেন পছন্দ করল!” জানেন কি, ছেলেদের আগ্রহ কোন মেয়েদের প্রতি বেশি থাকে? জরিপে দেখা যায় ছেলেরা সেই সব মেয়েদের প্রতি বেশি আগ্রহী যারা সুন্দর করে হাসতে জানেন।
৫. সকালে অফিস যাওয়ার আগে অনেক দম্পতিরা একে অপরকে চুম্বন করে ভালোবাসা প্রকাশ করে থাকেন। কিন্তু এটি শুধুমাত্র ভালোবাসা প্রকাশের সাথেই সম্পর্ক যুক্ত নয়। হেলথ এক্সপার্টদের মতে যে স্বামী-স্ত্রী তার সঙ্গীকে প্রতিদিন সকালে চুম্বন করেন সে অন্যদের চেয়ে পাচঁ বছর বেশি বাচেঁন।
৬. যারা নতুন নতুন প্রেমে পড়ে তাদের দেহে সেরেটোনিন নামক এক প্রকার হরমোন উৎপন্ন হওয়া কমে যায়। সেরেটোনিন আমাদের মন খুশি রাখার জন্য দায়ী একটি হরমোন। যার ফলে মন কিছুটা উদাস থাকে বা বিষণ্ণতায় ভোগে!
৭. বেশিরভাগ সাধারণ প্রেমের সম্পর্কের ভাঙন হয়ে থাকে সম্পর্ক গড়ার মাত্র ৫-৬ মাসের মধ্যে।
৮. প্রকৃত প্রেমিক চিনতে অনেক মেয়েরাই ভুল করে থাকেন। তাদের জন্য একটি জরিপ করা হয় ২০১২ সালে। সেই জরীপে দেখা যায় যারা প্রকৃত প্রেমিক তারা চুম্বন করার সময় ডান গাল থেকে চুম্বন শুরু করেন।
(ওএস/এটিআর/জুলাই ৩১, ২০১৪)