রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : বিশেষ অভিযান চালিয়ে ঈদুল আযহা উপলক্ষে সরকারি বরাদ্দকৃত ভিজিএফ কার্ডের দু’ বস্তা চাল ও একটি মোটর সাইকেলসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় দু’ জনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় আরো আটবস্তা চাল। বিপদ বুঝে পুকুরে ও ডোবায় ফেলে দেওয়া হয় আরো ১৭ বস্তা চাল।

বৃহষ্পতিবার রাত আটটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পুলিশ সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের কাপষণ্ডা গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী কাপষণ্ডা গ্রামের রায়হানউদ্দিন খোকা, সাকিল হোসেন, আলতাফ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনসহ কয়েকজন জানান, পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে ভিজিএফ কার্ডে দুস্থ পরিবার পিছু ১৫ কেজি করে চাল স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিতরনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। অথচ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহানেওয়াজ ডালিমের মাধ্যমে তার কাছের লোক বলে পরিচিত কয়েকজন রাতের আঁধারে শতাধিক বস্তা চাল কালো বাজারে বিক্রির জন্য আত্মসাৎ করে।

খবর পেয়ে আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক বিল্লাল হোসেন ও উপপরিদর্শক মামুনের নেতৃত্বে পুলিশ বৃহষ্পতিবার রাত আটটা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। এ সময় কাপষণ্ডা ফুলবল মাঠের পাশে মোটর সাইকেলে রাখা তিন বস্তা চালসহ সবুর গাজীর ছেলে আরিফ গাজীকে আটক করেষ্পরে কাপষণ্ডা দক্ষিণপাড়ার আজিমউদ্দিনের বাড়ি থেকে তিন বস্তা, জামালউদ্দিন সানার বাড়ি থেকে দু’ বস্তা, সামাদ সরদারের ছেলে ফারুক সরদারের বাড়ি থেকে তিন বস্তা চাল উদ্ধার করে পুলিশ।

বিপদ বুঝে আব্দুল কাদেরের ছেলে সাত্তার গাজী ১৪ বস্তা বাড়ির পাশে পুকুরে ও আতিয়ার গাজীর ছেলে ইবাদুল গাজী তিন বস্তা চাল বাড়ির সামনের ডোবায় ফেলে দেয়। তবে চেয়ারম্যান হস্তক্ষেপ না করলে পুলিশ আরো অভিযান চালালে আরো বেশি চাল উদ্ধার করতে পারতো বলে দাবি করেন তারা।

গরীব মানুষের চাল বিশেষ শ্রেণীর সুবিধাভোগীরা পাওয়ায় পুলিশের কাছে ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন সাধারণ মানুষ।

জানতে চাইলে খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহানেওয়াজ ডালিম সাংবাদিকদের বলেন, যাদের কাছ থেকে চাল পাওয়া গেছে তারা কোথা থেকে ওই চাল পেয়েছে তা তার জানা নেই।

আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক বিল্লাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করবে।

(আরকে/এসপি/আগস্ট ০৯, ২০১৯)