শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : ঈদুল আযহা’র শেষ মূহুর্তেও উত্তরের সীমান্ত জেলা দিনাজপুরে তেমন জমে উঠেনি কোরবানি পশুর হাট। কোরবানি উপলক্ষে গরু মোটাতাজা করণ খামার করে ব্যাপক সাফল্য পেলেও ক্রেতা কম থাকায় গরু’র দাম তেমন একটা পাচ্ছেনা খামারিরা। 

তবে, ক্রেতারা বলছে,গরু’র দাম বেশি হওয়ায় অনেকে কোরবানির পশু ক্রয়ে হিমসিম খাচ্ছে। জেলার ১৩ উপজেলায় এবার প্রতিটি পশুর হাটে একটি করে ভেটেরিনারী মেডিকেল টিম কাজ করছে। সেইসাথে প্রতারণার হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রশাসন প্রতিটি হাটে জাল নোট সনাক্ত করণ বুধ খুলেছে।

দিনাজপুরে এবার কোরবানি ঈদ উপলক্ষে এক লাখ ৯১ হাজার ২’শ ১৪টি গবাদি পশু প্রস্তুত করেছে খামারিরা। এর মধ্যে গরু ও মহিষ এক লাখ ১৯ হাজার ৯’৬৫টি এবং ছাগল ও ভেড়া ৭১ হাজার ২’শ ৪৯টি রয়েছে। জেলায় চাহিদা রয়েছে এক লাখ ৮ হাজার ১’শ ১৭ গবাদি-পশু। তাই, জেলার চাহিদা মিটিয়েও ৮২ হাজার ৭’শ ৯৭টি গবাদি পশু উদ্বৃত্ত থাকছে।

উত্তরের সীমান্ত জেলা দিনাজপুরে শেষ মূহুর্তেও প্রচুর দেশিয় গরু হাটে উঠলেও বেচা-কেনা জমে উঠেনি কোরবানি পশুর হাটে। গরু অনেক থাকলেও এবার পাল্টে গেছে কোরবানি পশু’র হাটের চিত্র। নেই তেমন কোন বেচা কেনা। কোরবানি উপলক্ষে গরু মোটাতাজা করণ খামার করে ব্যাপক সাফল্য পেলেও এবং অন্যান্য বারের চেয়ে এবার ভারত থেকে গরু কম এলেও গরু’র দাম তেমন একটা পাচ্ছেনা খামারিরা। এমন অভিযোগ অসংখ্য খামারির।

কাচা ঘাস, চকর, ভুষি, আকারী, খুদি চালের ভাত, ফিট , ভুট্টার গুড়া ,শুকনো খড়সহ ভিটামিন,মিনারেল এবং শর্করা জাতীয় খাবার সরবারাহ করা হয় এসব গরুর জন্যে। নিয়মিত গো খাবার সরবরাহের পাশাপাশি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং নিয়মিত গরু’র গোসল করিয়ে চার থেকে ছয় মাস পালন করা হয় এসব গরু। তাই নিজের পাশাপাশি অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করে খামারিরা।

অন্যদিকে কোরবানির হাটে প্রচুর গরু উঠলেও দাম গতবারের চেয়ে বেশি হওয়ায় পশু ক্রয়ে হিমসিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। গতবারের চেয়ে এবার গরুপ্রতি ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা দাম বেশি বলে ক্রেতারা জানিয়েছেন।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকেও জেলার বড় হাটগুলোতে ব্যবসায়ীদের আগমন ঘটতো। এবার বাহির থেকে তেমন বড় ব্যবসায়ীদের হাটে আগম নেই বলে জানালেন,হাট ইজারাদারা।

এ জন্য এলাকার পশুগুলো এলাকাতেই থাকছে। হাটে প্রচুর গরু-ছাগলের আমদানি হয়েছে। বিক্রি করতে না পেরে অনেককে গরু ফেরত নিয়ে যেতে দেখা গেছে।

তবে, এবার পশুর হাটে ভেটেরিনারী মেডিকেল টিম এবং জাল নোট সনাক্ত করণ বুধ থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে স্বস্তি’র নিঃশ্বাস ফেলছে।

(এস/এসপি/আগস্ট ১০, ২০১৯)