স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর : বাংলাদেশে বর্তমান গমের চাহিদা ৭০ লক্ষ মেট্রিক টন আর উৎপাদন ১১ লক্ষ মেট্রিক টন। অপর দিকে ভুট্রা ফসলেও আমাদের ঘাটতি রয়েছে। তাই খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে গম ও ভুট্রার উৎপাদন বাড়াতে হবে।আর এ জন্য গবেষণার বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ গম ও ভুট্রা গবেষণা ইনস্টিটিউটের “বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচী প্রণয়ন কর্মশালা’২০১৯”কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দিনাজপুরের নশিপুরস্থ বাংলাদেশ গম ও ভুট্রা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সেমিনার রুমে চারদিন ব্যাপী এ কর্মশালা’র আজ সোমবার সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন.কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলা রঞ্জন দাশ।

ইনস্টিটিউটের মহা-পরিচালক ড. মো. এছরাইল হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইনস্টিটিউটের সাবেক মহা-পরিচালক ড.নরেশ চন্দ্র দেব বর্মা,মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড,আব্দুল আউয়াল,ড.বদিউজ্জামান,প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.আব্দুল হাকিম প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

ড. মো. এছরাইল হোসেনের কর্মশালায় মুল প্রবন্ধে জানানো হয়, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৮৪ ইং সালে দিনাজপুর গম গবেষণা কেন্দ্র স্থাপিত হয়। ১৯৯৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরে এক বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনাজপুর গম গবেষণা কেন্দ্রতে পূণাঙ্গ ইনস্টিটিউটে রূপান্তর করার ঘোষণা দেন।২০০৯ সালে আবারো পূণঃরায় ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র তাগিদের প্রেক্ষিতে দিনাজপুরে বাংলাদেশ বাংলাদেশ গম ও ভুট্রা গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপিত হয়।

কর্মশালার মূল প্রবন্ধে বাংলাদেশে গম ও ভুট্রার উৎপাদন এবং চাহিদার সার্বিক চিত্র ধরাসহ গম ও ভুট্রার চাহিদা বৃদ্ধি ও তা চাষাবাদে লাভবান হওয়ার দিক তুলে ধরেন।

কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশ গম ও ভুট্রা গবেষণা ইনস্টিটিউট এ পর্যন্ত ৩৪টি উচ্চফলনশীল গমের জাত উদ্ভাবন করেছে।এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ব্লাস্ট প্রতিরোধী জাত বারি গম-৩৩। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ডব্লিউএমআরআই ১ নামে একটি তাপ সহনশীল গমের জাত উদ্ভাবন করেছে।এ প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা কঠোর পরিশ্রম,প্রজ্ঞা,মেধা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এ পর্যস্ত ভুট্রার উচ্চফলনশীল ২৭টি জাত ও ৭টি ওপেন পলিনেটেড কম্পোজিট জাত উদ্ভাবন করেছে।

কর্মশালায় তাপ,খরা,লবনাক্ততাসহনীয় এবং রোগ-পোকা মাকড় প্রতিরোধী গম ও ভুট্রা’র জাত উদ্ভাবনের প্রতি গুরুত্ব আরাপ করা হয়।

গম ও ভুট্রার নতুর জাত এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তি কৃষকের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে এই কর্মশালায় প্রথিতযশা কৃষি কর্মকর্তা,বিজ্ঞানী ও নার্সভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ৭০ জন অংশ নিয়েছেন। কর্মশালা চলবে, ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যস্ত।

(এস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯)