নীলফামারী প্রতিনিধি : পাঁচ লাখ টাকা চুরি করে এক ব্রাক কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে  ব্রাক কর্মী খুন করে পালিয়ে গেছে একটি জোর চক্র। 

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে নীলফামারী সদরের সৈয়দপুর সড়কের কাজিরহাট নামক স্থানে। খুনের শিকার ব্রাক কর্মীর নাম মহিদুল ইসলাম(৪৫)। তিনি কাজিরহাট ব্রাক শাখার কর্মী। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁ।

এলাকাবাসী জানায়, সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের সৈয়দপুর মহাসড়কের ধারে কাজিরহাটের ধারে সোহাগ ট্রেডার্স। এই দোকানের মালিক ঘটনার দিন বেলা ১২টার দিকে ব্যাংক হতে পাচ লাখ টাকা উত্তোলন করে দোকানে নিয়ে আসে। দোকানে ওই টাকা রেখে দোকান বন্ধ করে তিনি বাড়ি যায় দুপুরের ভাত খেতে। বিকালে দোকান খুলে দেখতে পান তার দোকান লন্ডভন্ড ও দোকানের সিসি ক্যামেরা, কম্পিউটার সহ টেবিলের ড্রয়ারে রাখা পাচ লাখ টাকাও নেই।

এলাকাবাসী ও পুলিশের ধারনা সোহাগ ট্রেডাসের পেছনে রয়েছে কয়েকটি বসতবাড়ি। একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন কাজিরহাট ব্রাকের কর্মী মহিদুল ইসলাম। সোহাগ ট্রেডারের মালিক সহ এলাকাবাসী দোকানের পেছনে গিয়ে দেখে ওই ব্রাক কর্মীর ঘরে তালা ঝুলছে। টাকা চুরির বিষয়টি সোহাগ ট্রেডার্সের মালিক নীলফামারী থানায় এসে অভিযোগ করেন। এর দেড় ঘন্টা পেরিয়ে গেলে এলাকাবাসী দেখতে পায় যে ঘরে ব্রাক কর্মী ভাড়া থাকেন সেই ঘরের তালা লাগানো দরজার নিচ দিয়ে রক্ত চুয়ে চুয়ে বাহিরে বেরিয়ে আসছে। তাৎক্ষনিক ভাবে পুলিশকে জানালে সেখানে ছুটে যায় পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে কথা বললে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রুহুল আমীন সাংবাদিকদের জানান বিষয়টি রহস্যজনক। পুলিশ সুপার সহ আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে সোহাগ ট্রেডার্সের টাকা চুরির বিষয়টি হয়তো ব্রাক কর্মি দেখে ফেলায় চোরেরা ওই ব্রাক কর্মিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছে। তিনি বলেন রংপুর হতে পুলিশের একটি বিশেষ টিম এসে আলামত সংগ্রহ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানানো যাবে।

(এস/এসপি/নভেম্বর ২৭, ২০১৯)