লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে যুবলীগ ও শিবিরের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ২০টি দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে চলে যায়। সোমবার রাত ৯টায় উপজেলার চরআবাবিল ইউনিয়নের হায়দরগঞ্জ বাজারের এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

এ ঘটনায় এলাকায় ও ব্যবসায়ীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে হরতাল অবরোধের নামে শহেরর বিভিন্ন সড়ক কর্তনসহ রাস্তার প্রায় ১০ হাজার গাছ কেটে নেয় শিবির ক্যাডররা। এতে তাদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও সড়কের গাছ কাটাসহ বিভিন্ন ঘটনায় মামলা হলেও পুলিশ রসহ্যজনক কারনে গ্রেপ্তার করছে না বলেও অভিযোর রয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, সোমবার বিকালে শিবির ক্যাডারদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শহরের রায়পুর-চাঁদপুর সড়কের ট্রাফিক মোড়ে প্রায় ২ ঘন্টায় ধরে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্র ও যুবলীগের ২ শতাধিক নেতাকর্মী। পরে রায়পুর থানার ওসি একেএম মনঞ্জুরুল হক আকন্দ এসে অভিযুক্ত শিবির ক্যাডাদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়। এর প্রতিবাদে উপজেলার হায়দরগঞ্জ বাজার এশার নামাজের পর শিবিরের নেতাকর্মীরা যুবলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন। এতে স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা মিছিলটিকে বাধাদিতে গিয়ে কয়েক উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষে হয়। পরে মিছিল কারীদের সাথে যুবলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ হলে ১০/১২ জনের সন্ত্রাসী হায়দরগঞ্জ বাজারে হানাদিয়ে ২০টি দোকান ভাংচুরসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে হায়দরগঞ্জ ফাড়ির পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
উপজেলার যুবলীগের আহব্বায়ক কামরুল হাসান রাসেল বলেন, রায়পুরে শিবির ক্যাডারদের অত্মাচারে আ.লীগ, ছাত্র ও যুবলীগ নেতা কর্মীসহ সাধারণ জনগণ অতিষ্ঠ। আ.লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়ও তারা আ.লীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট করে। জামায়াত-শিবিরের নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সহিংসতা ও নাশকতারসহ ৭-৮ টি করে মামলায় থাকলেও পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করছে না। থানা পুলিশকে আর্থিক সুবিধা দিয়ে তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ার। তাদের কাছে বিপুল পরিমান অস্ত্র থাকলেও বারবার বলা সত্বেও তা উদ্ধারের উদ্যোগ নিচ্ছে না থানা পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, সোমবার দুপুরে উত্তর চর আবাবিল ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক কৌশিক আহমেদ সোহেল ব্যবসায়ীক কাজে মোটরসাইকেলযোগে রায়পুর বাজারে পৌছতেই একদল শিবির ক্যাডার তাঁর ওপর হামলার চেষ্টা চালায়। এর প্রতিবাদ ও শিবির ক্যাডারদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বিকালে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করলে তারা হায়দরগঞ্জ বাজারে যুবলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে মিছিল বের করে ব্যবসায়িদের দোকান ভাংচুর করেন। আজ শিবির ক্যাডারদের হাতে সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মী কেউ নিরাপদ নয়।
হায়দরগঞ্জ শিবিরের সার্থী শাখার সভা মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, কোন কারন ছাড়াই যুবলীগ নেতা কৌশিক আহমেদ সোহেলের নেত্রিত্বে বাজারের ব্যবসায়ীদের দোকানপাট ভাংচুর করে মালামাল লুট করে যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
রায়পুর থানার ওসি একেএম মনঞ্জুরুল হক আকন্দ জামায়াত-শিবিরকে মদদ দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যুবলীগ নেতা কৌশিককে মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়ার কথা আমাকে জানিয়েছে। দোষীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। হায়দরগঞ্জ বাজারের পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এঘটনায় মামলা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(এমআরএস/এএস/আগস্ট ০৫, ২০১৪)