কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রায় শতবর্ষের প্রাচীন আউলিয়াপাড়া ফাজিল মাদরাসার ঐতিহ্য ও সুনাম বিনষ্ট করার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী একটি চক্র নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা মাদরাসার গভর্নিং বডি ও শিক্ষকদের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য ইতিমধ্যে ভূয়া তথ্যসম্বলিত লিফলেট বিতরণ এবং স্থানীয় দুই-একটি পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এইসব অভিযোগ করেন গভর্নিং বডির সদস্য অ্যাডভোকেট মোহসিন আলম।

লিখিত বক্তব্যে আরো জানানো হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রী মরহুম সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল আয়কর আইনজীবী মোহাম্মদ মোজাম্মেল হককে উক্ত মাদরাসার সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেন এবং দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৭ সালের ২৬ মার্চ তাকেই সভাপতি পদে পুনরায় নিয়োগ দেয়া হয়। সভাপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক মাদরাসার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক এবং মাদরাসার জমি পুনরুদ্ধারের কাজে হাত দেন। তিনি অবৈধ দখলদারদের নিকট থেকে ১৯০ শতাংশ ভূমি উদ্ধারসহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের অনুদান ও নিজস্ব অর্থায়নে দুটি বড় গেইট, বাউন্ডারি ওয়াল, ভবনের নতুন দরজা-জানালা নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। বর্তমানে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি চারতলা ভবনের নির্মাণ কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সম্প্রতি প্রিন্সিপাল নিয়োগের ক্ষেত্রেও তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ না দেয়ায় তারা আরো বেশি ক্ষুব্ধ হন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-কলেজের অধ্যক্ষ হারুনুর রশীদ মোল্লা, সহকারী অধ্যাপক আবু সাঈদ, প্রভাষক মো. আবু তাহের, সহকারী শিক্ষক আবুল হাসেম, ওয়ায়েস করুনী, কামাল উদ্দিন, আব্দুল আউয়াল, সহকারী শিক্ষক (মৌলভী) নাসির উদ্দিন, এবতেদায়ী প্রধান রফিকুল ইসলামঅভিভাবক প্রতিনিধি এ বি এম মহিউদ্দিন আহমেদ বাদল, বিন্নাটি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম সোয়েব, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাহাদাৎ হোসেন ও অভিভাবকসহ অন্যান্যরা।

(পিএস/এসপি/ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯)