খুলনা প্রতিনিধি : বিদায়ী বছরে খুলনায় র‌্যাব-পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ২০ জন নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় বিদায়ী বছরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক। খুলনা জেলা, কেএমপি, র‌্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীর নিয়মিত অভিযানে মাদকসহ নানা ধরনের অপরাধীরা ধরা পড়ছে। 

অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে উন্মুক্ত মাদকের বেচা-কেনাসহ ব্যবহার। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনাও খুব কম শোনা যাচ্ছে। তবে এ পরিবেশ ধরে রাখতে হলে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর কর্মকর্তাসহ সকল পর্যায়ের সদস্যদের আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালনে ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিদায়ী বছরে খুলনায় র‌্যাব-পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ২০ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৯ জনই র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৮ জন ডাকাতির অভিযোগে এবং বাকী একজন মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগে। এছাড়া কেএমপি পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে একজন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়।

তথ্যসূত্রে জানা গেছে, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী বিকাশ কুমার দে (৩৮) নিহত হয়েছেন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ধানিবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিকাশের বাড়ি উপজেলার কৈয়া বাজার এলাকায়। র‌্যাবের ভাষ্য, তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, হত্যা, মাদকসহ কমপক্ষে ১৩টি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বিদেশি পিস্তল, একটি শ্যুটার গান, পিস্তলের একটি ম্যাগজিন, পিস্তলের তিনটি গুলি, বন্দুকের তিনটি গুলি, ৫৫ বোতল ফেন্সিডিল ও ২০৭ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ সময় র‌্যাবের তিন সদস্য আহত হয়েছিলো।

দৌলতপুর থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে গত এপ্রিল মাসে মিরাজ নামের একজন মাদক ব্যবসায়ী বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র-গুলি ও মাদক জব্দ করে পুলিশ।

গত ১৫ অক্টোবর র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে আমিনুল ইসলামসহ ৪ জন নিহত হয়। এ সময় সেখান থেকে ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে র‌্যাব।

গত ২৯ মে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ‘হাসান বাহিনী’র প্রধান হাসানসহ ৪ ডাকাত নিহত হয়েছে। এসময় ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র, বেশ কয়েক রাউন্ড তাজা গুলি, গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।

গত ৭ মে র‌্যাব-৬’র সাথে বন্দুকযুদ্ধের রানা বাহিনীর প্রধান রানাসহ ৩ জন নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে ১টি ওয়ান শ্যুটারগান, ৩টি পাইপগান, ২৩ রাউন্ড বন্দুকের গুলি, ১৪ রাউন্ড খালি খোসা, ৩টি রামদা উদ্ধার করা হয়।

গত ২৫ ফেব্র“য়ারি র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে আরিফ বাহিনীর প্রধানসহ ৪ জন ডাকাত নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১১৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

গত ১৮ ফেব্র“য়ারি দাকোপ অঞ্চলে কোস্ট গার্ডের সাথে বন্দুকযুদ্ধে একজন ডাকাত সদস্য নিহত হয়। এ সময় সেখান থেকে ৪টি একনলা দেশী বন্দুক ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে কোস্ট গার্ড।

(এস/এসপি/জানুয়ারি ০৯, ২০২০)

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ০৯, ২০২০)