বান্দরবান প্রতিনিধি : আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন উপলক্ষে বান্দরবানে পাহাড়ী বিভিন্ন সম্প্রদায় সংবাদ সম্মেলন করেছে। আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতিসহ ৮ দফা দাবীতে বৃহস্পতিবার সকালে বান্দরবান প্রেসক্লাবে রাজপুত্র চহ্লা প্রু জিমির সভাপতিত্বে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা কেএস মং মারমা, জেলা জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সভাপতি সাধুরাম ত্রিপুরা মিল্টন, সহ-সভাপতি চিংহ্লা মং চাক, জনসংহতি সমিতি মহিলা দলের সভানেত্রী ওয়াই চিং মারমা’সহ কমিটির নেতৃবৃন্দরা।

সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা দাবীগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির অবাস্তবায়িত বিষয়সমূহ দ্রুত ও যথাযত বাস্তবায়ন উদ্যোগ গ্রহণ করা, সংবিধানে আদিবাসী শব্দটি স্থাপন করা, জাতীয় সংসদে উত্থাপিত তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ২০১৪ প্রত্যাহার করা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আইন ২০১৪ বাতিল’সহ বিলুপ্ত করা, শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন না পর্যন্ত রাঙামাটিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ স্থগিত রাখা এবং বান্দরবান জেলায় অবৈধ ভূমি বেদখল বন্ধ করা।

সভায় বক্তারা বলেছেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি একটি অর্জন। আন্দোলনের ফসল এই চুক্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ উপকৃত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক সংকট’সহ নানা অব্যবস্থাপনায় বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে। তার উপর নতুন করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ যুক্তি সঙ্গত নয়। এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক নিয়ে স্থানীয় পাহাড়ীদের অগ্রাধীকার নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু এই শর্ত বাস্তবায়ন না করে অর্থের বিনিময়ে শিক্ষকসহ পার্বত্য জেলা পরিষদে ন্যস্ত বিভাগগুলোতে কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদগুলো দূর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। নির্বাচনের মাধ্যমে পরিষদগুলোতে জনপ্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা জরুরী। পার্বত্যবাসীর অধিকার নিশ্চিত করে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হলে চুক্তি বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।

(এএফবি/এইচআর/আগস্ট ০৭, ২০১৪)