মতিউর রহমান মুন্না, নবীগঞ্জ : নবীগঞ্জে কৃষি ব্যাংকে কৃষি একাউন্ট খুলতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। ১০ টাকার কৃষি একাউন্ট খুলতে ৫শ বা তার অধিক টাকা আদায় করেন কর্মকর্তারা এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর তদন্ত শুরু করে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

বুধবার দুপুরে কৃষি ব্যাংক হেড অফিসের ভিজিলেন্স স্কোয়াড ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আব্দুর রহমান সরকার ও ভিজিলেন্স স্কোয়াড ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মোঃ জসিম উদ্দিন সরেজমিনে নবীগঞ্জ কৃষি ব্যাংকে এসে তদন্ত করেন। তদন্তকালে প্রতিবেদক ও কৃষকদের ভাষ্যও নেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফখরুল আহসান চৌধুরী, দৈনিক হবিগঞ্জ সময়ের বার্তা সম্পাদক মতিউর রহমান মুন্না ও দৈনিক হবিগঞ্জ এক্সপ্রেসের প্রতিবেদক ছনি চৌধুরী।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন বিভিন্ন পত্রিকায় ‘নবীগঞ্জ কৃষি ব্যাংকে ১০ টাকার কৃষি একাউন্ট খুলতে দিতে হয় ৫শ টাকা’। শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। কৃষিকদের ভাষ্য অনুযায়ী সংবাদে উল্লেখ করা হয়- সরকার কৃষকের দোরগোঁড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালালেও, কাঙ্খিত সেবা পেতে পদে পদে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের।

বোরো মৌসুমের পর এবার আমন মৌসুমে সরকার খাদ্য বিভাগের মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয়ের উদ্যোগ নেয়। যাতে কৃষককে ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করা যায় এ জন্য ১০ টাকা দিয়ে কৃষি একাউন্ট খোলার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে এসে সাধারণ কৃষক পড়েন চরম হয়রানির মধ্যে। শুনতে হচ্ছে নানান কটূক্তি। দিনের পর দিন ব্যাংকে ধরণা দিয়েও একাউন্ট খুলতে না পেরে হতাশ এসব কৃষক।

কৃষকদের অভিযোগ- গুদামে ধান বিক্রির পর উপজেলার অধিকাংশ কৃষক কৃষি ব্যাংক নবীগঞ্জ শাখায় একাউন্ট খোলার জন্য যান। ১০টাকার বিনিময়ে একাউন্ট খুলতে গিয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। ১০ টাকার কৃষি একাউন্ট খুলতে ৫শ বা তার অধিক টাকা আদায় করেন কৃষি ব্যাংক নবীগঞ্জ শাখার কর্মকর্তারা।

সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে মনগড়া তাদের মতো পরিচালনা করছেন ব্যাংক কার্যক্রম। এমন অনিয়ম নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এরই প্রেক্ষিতে সরেজমিনে তদন্ত শেষে হেড অফিসের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানান, তারা নবীগঞ্জ কৃষি ব্যাংকে এসে বিভিন্ন ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেছেন। তদন্ত চলছে। অনিয়মের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(এম/এসপি/জানুয়ারি ২৯, ২০২০)