রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রাজারহাটে বালুর ত্রীব্র সংকটের কারণে রাজারহাটে এলজিডি, এডিপি, এলজিএসপিসহ বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় ১০০ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ রেখেছেন ঠিকাদারগণ। এছাড়া রাস্তা পাকা করণের জন্য নতুন টেন্ডারকৃত রাস্তাগুলোর ওয়ার্ক পারমিট হলেও বালু সংকটের কারণে বক্স্র কার্টিং করতে পারছেন না  ঠিকাদারগণ। এছাড়া জেলায় সরকারীভাবে বালু মহাল না থাকায় প্রায় ১কিলোমিটার দুর লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থেকে বালু নিয়ে আসতে হিমসিম খাচ্ছে ঠিকাদাররা। এমনকি বসত বাড়ীর কাজেও বালু পাওয়া যাচ্ছে না এ এলাকায়। রাজারহাট উপজেলাজুড়ে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। 

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউপির বিজলী বাজার থেকে কালিরহাট বাজার পর্যন্ত ১ কোটি ৬০ লাখ টাকার ১৫০০ মিটার,প্রয়াত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল হাসেমের বাড়ি থেকে কালিরহাট পর্যন্ত ৫০০ মিটার, চাকিপশার ইউপির ফুলখাঁর চাকলা বাজার পাকার মাথা হতে সাকোয়া উ:বি: পর্যন্ত ১৭৫০ মিটার, মিলেরপাড় বাজার থেকে ফুলখাঁর চাকলা পর্যন্ত ১৩০০ মিটার, লালের তেপোতি থেকে জাকিরের বাড়ি পর্যন্ত ১৩৫০ মিটার, রাজারহাট রেলগেট বটতলা বাজার থেকে চাকিপশার হাফেজিয়া মাদরাসা পর্যন্ত ২২৫০ মিটার, উমরমজিদ ইউপির বটতলী বাজার হতে জোড়সয়রা ২৭৫০ মিটার, ফরকেরহাট ফেডারেশন পাকার মাথা থেকে পাঁচপীর রোড পর্যন্ত ১৭৮০ মিটার, রাজারহাট সদর ইউপির চেয়ারম্যান এনামুল হকের বাড়ি সামন থেকে পুনকর মৌজার বটতলা পর্যন্ত ১০৭২ মিটার,পুনকর মৌজার শিমুলতলা থেকে ভাটারপাড় পর্যন্ত ৯৩৫ মিটার,আজগারের বাড়ি থেকে কাঠমিস্ত্রি বক্করের বাড়ি পর্যন্ত ৩৮৫ মিটার পাকা রাস্তার কাজ বালু সংকটের কারণে বন্ধ রেখেছেন ঠিকাদাররা।

ঠিকাদার খাইরুল এন্টারপ্রাইজ এর ম্যানেজার মো.সিরাজুল ইসলাম (সিরাজ) বলেন, বিগত ৭/৮ মাস পূর্বে রাস্তা পাকা করণের জন্য বক্স কার্টিং করে রেখেছি,বালু সংকটের কারণে রাস্তার ফিলিং করতে পারছি না। তাই রাস্তার কাজ বন্ধ রেখেছি।

ঠিকাদার শফিকুল ইসলাম বলেন, রাজারহাট থেকে চিলমারীর দুরত্ব প্রায় ৪০ কি:মি: সেখানে থেকে বালু এনে কাজ করা প্রায় অসম্ভব। তাই রাস্তার কাজ বন্ধ রেখেছি।

রাজারহাট উপজেলা প্রকৈৗশলী আবু তাহের মো. শফি উল্ল্যাহ বলেন, এ বিষয়ে আমার কোন বলার নেই। আপনারা উপজেলায় সর্বত্র থাকেন সবই জানেন এবং বুঝেন এ ব্যাপারে আমার আর নতুন করে বলার কি আছে!

এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহা: যোবায়ের হোসেন বলেন, আমি চাই ঠিকাদারগণ বৈধভাবে বালু সংগ্রহ করে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজগুলো অব্যাহত রাখুক এবং আইনগতভাবে অবৈধ বালু উত্তোলন করার কোন সুযোগ নেই।

(পিএম/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২০)