নিজস্ব প্রতিনিধি : কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নে আদালতের আদেশ অমান্য করে ঘরের তালা ভেঙে প্রবেশ করে অন্যের জমি দখল প্রচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি ভূমিদস্যু চক্রের বিরুদ্ধে। 

গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ইছানগর গ্রামের (৯নং ওয়ার্ড) কর্ণফুলী ডকের পুর্বপাশে একটি পরিত্যক্ত টিনসেট বেড়ার ঘরে এই ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় মুরুব্বি শাহ আলমের ভোগ দখলকৃত ওই জমির উপর থাকা একটি ঘরের তালা ভাঙচুর করে দখলের চেষ্টা করে তারা। এ সময় ঘরে যাওয়ার সাঁকো ভাংচুর করে চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যান।

বিষয়টি জানতে পারে ভুক্তভোগি শাহ আলম একই এলাকার মো. মনির হোসেন, জাফর আহাম্মদ ও অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে স্থানীয় কর্ণফুলী থানায় পর পর দুটি অভিযোগ করেন। প্রথমবার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানায়, দীর্ঘদিন যাবত জমিটি ভুক্তভোগি শাহ আলমের দখলে ছিল। কিন্তু কয়েক মাস পূর্বে থেকে ওই জমি নিজেদের দাবী করে আসছে একটি প্রভাবশালী চক্র। ইতোপুর্বে বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে সালিশী বৈঠকে বসেন। বৈঠকে দু’পক্ষের কথা শোনে এলাকায় বিশৃঙ্খলা এড়াতে সমঝোতার চেষ্টায় স্থানীয় চেয়ারম্যান পরিত্যক্ত ঘরে তালা মেরে আপাতত বন্ধ রাখার কথা জানান।

তথ্যমতে আরো জানা যায়, বিরোধীয় জমি নিয়ে চট্টগ্রাম আদালত ও কর্ণফুলী উপজেলা সহকারি (ভূমি) কমিশনার অফিসে উভয়পক্ষের মামলা চলমান রয়েছে। উভয় পক্ষের বিরোধ থাকায় সরেজমিনে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেন স্থানীয় তহশিলদার। এসিল্যান্ডের শুনানি শেষে বিরোধীয় জমি সরেজমিনে পরিদর্শনের কথা রয়েছে। এরই ফাঁকে তড়িগড়ি করে চক্রটি ঘরের তালা ভেঙ্গে নিজেদের দখল দেখানোর চেষ্টায় পাঁয়তারা করেছে বলে ভুক্তভোগিরা জানান।

ভুক্তভোগী শাহ আলম আরো জানান, দীর্ঘদিন যাবত তার ভোগ দখলে আছে জমিটি। কিন্তু প্রতিপক্ষরা জমি দাবী করে বিভিন্ন সময় হামলা,মামলাসহ হয়রানী করে আসছে। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও অভিযুক্তদের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাজী ছাবের আহমদ জানান, বিষয়টি আমি কয়েকবার সমঝোতার চেষ্টা করেছি। এখন যেহেতু এসিল্যান্ড অফিসে মামলা চলছে। ওখানেই প্রতিকার পেতে পারেন ভুক্তভোগিরা।

অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে কর্ণফুলী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক জানান, এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমি যতটুকু জেনেছি স্থানীয় ভাবে বিষয়টি সমাধা করার জন্য দুই ইউপি চেয়ারম্যান দায়িত্ব নিয়েছে। সাঁকো কিংবা তালা ভাঙচুর করলেও আদালতে যেহেতু মামলা চলমান রয়েছে। সেক্ষেত্রে পুলিশের হস্তক্ষেপ সীমিত।

(জেজে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০)