সঞ্জীব কুমার দাস, কাপাসিয়া (গাজীপুর) : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় এ পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও নার্সসহ মোট ৬০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। কাপাসিয়ায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়লে আক্রান্তের সংখ্যা আরো ব্যাপক হারে বাড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। 

গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম শনিবার সকালে জানিয়েছেন, কাপাসিয়ার এ প্রেক্ষাপটে বেশী সংখ্যক মানুষের করোনা পরীক্ষার জন্য ঢাকা থেকে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম কাপাসিয়া আনা হচ্ছে । ওই টিম আরো বেশী সংখ্যক সাধারণ মানুষের পরীক্ষা করে কাপাসিয়ার প্রকৃত অবস্থা জানানোর কথা রয়েছে। যাতে পরবর্তী সময় কাপাসিয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।

জেলার মধ্যে অন্য সব উপজেলাকে ছাড়িয়ে গেছে কাপাসিয়া উপজেলা। কাপাসিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দস্যুনারায়নপুর, তরগাঁও, কড়িহাতার রামপুর, বারিষাবরে ভেড়ারচালা এবং টোক এলাকায় সব চেয়ে বেশী করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।

কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আব্দুস সালাম সরকার জানান, কাপাসিয়ায় প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে তিনি নিজেও রয়েছে। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভিতরে যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে নার্স ২জন, সহকারি নার্স ১ জন, স্টোর কিপার ১ হিসাব রক্ষকসহ ৭ জন। এবং হাসপাতালের বাইরে কাজ করেন এমন স্বাস্থ্য সহকারি ৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের সকলকে প্রাথমিক অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এ উপজেলায় সর্ব মোট আক্রন্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৬০জন।

পরবর্তী সময়ে তাদের শারিরীক অবস্থা বিবেচনা করে ঢাকায় পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি আক্রান্তদের জন্য সকলের নিকট দোয়া কামনা করেছেন। এদিকে গত বৃহস্পতিবার কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোসা: ইসমত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন। গণবিজ্ঞপ্তিতে উপজেলার কিছু হাট বাজার ও কিছু রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। কাপাসিয়া উপজেলার কাপাসিয়া বাজার, দস্যু নারায়নপুর বাজার, ত্রিমোহনী বাজার ও আড়াল বাজার বাজার এর মধ্যে রয়েছে। গণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।

করোনাভাইরাস কাপাসিয়া উপজেলায় যাতে মহামারি আকারে ছড়িয়ে না পড়ে, সে লক্ষে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কাপাসিয়াবাসীকে ঘরে থাকার এবং সামাজিক দুরত্ব বঝায় রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়।

কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. আমানত হোসেন খান বলেন, কাপাসিয়ার মানুষকে ঘরে রাখার জন্য উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, বিভিন্ন সময়ে সেনা সদস্যগণ নানা ভাবে উপজেলায় মানুষকে ঘরে থাকার জন্য প্রচার প্রচারণা চালনো হচ্ছে। তিনি আবারও সকলকে যে কোন উপায়ে ঘরে থাকার এবং সামাজিক দুরত্ব বঝায় রাখার জন্য অনুরোধ জানান।

(এসকেডি/এসপি/এপ্রিল ১৮, ২০২০)