রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : ছাত্রলীগ নেতা মোরশেদ আলম বাবুর অত্যাচার এবং একের এক বিতর্কিত কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ এলাকাবাসি। বাদ পড়ছে না আওয়ামীলীগ যুবলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। বাবু রামগঞ্জ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতির আর্শিবাদপৃষ্ঠ হয়ে দীর্ঘদিন থেকে উপজেলার লামচর ইউনিয়নে আস্তানা করে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছেন মাদক ব্যবসা, গড়ে তুলেছেন একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। এমন কি হোন্ডা চুরি সিন্ডেকেটের প্রধান হিসেবেও তিনি যথেষ্ট পরিচিতি লাভ করেছেন। এ সব বিতর্কিত কর্মকান্ডে আছে তার নামে কয়েকটি মামলা। 

সম্প্রতি মোরশেদ আলম বাবুর নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে লামচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল খায়ের ভুইয়ার উপর অর্তিকিত হামলা চালিয়ে যুবলীগ নেতা সফিকুল ইসলামসহ কয়েকজনকে মারাত্বক আহত করে। এতে সফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মোরশেদ আলম বাবুর নামে মামলা হলেও অদৃস্য কারনে সে গ্রেফতার হচ্ছেনা।

লামছর ইউনিয়র আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতা জানান, বাবু আস্তানা করে মাদক ব্যবসার সাথে সাথে শালিস বানিজ্য, কমিশন বানিজ্যের পাশাপাসি ইউপি চেয়ারম্যান মাহেনারা পারবিনকে জিম্মি করে কাবিখা কাবিটা, এলজিএসপি, এডিপি প্রকল্পের টাকা হার হামেসায় আত্মসাৎ করে যাচ্ছে। করোনা ভাইরাসে কাশিমনগর মধুর বাড়ি, কাজি বাড়ি লকডাউনে থাকা কৃষকদের ধান কাটার নামে ফটোসেশনের জন্য কাছা ধান কেটে আওয়ামীলীগকে বিতর্কের মধ্যে ফেলেছেন। সমালোচনার ঝড় তুলছেন উপজেলাব্যাপী।

মামলার বাদী লামচর ৩ নাম্বার ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি জানান, বাবুর অনৈতিক কর্মকান্ডে প্রতিবাদ করায় সে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলেিগর সভাপতিসহ আমাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে মারাত্বক আহত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় অস্বস্থিকর জীবন যাপন করলে অদ্রশ্য কারনে বাবু গ্রেফতার হচ্ছে না।

ইউনিয়ন আওয়ামীলেিগর সভাপতি আবুল খায়ের ভুইয়া জানান, এত বছর শ্রম ঘাম রক্ত দিয়ে রাজনীতি করে বাবুর নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে লাঞ্চিত হবো এটা ভাবতে পারি নাই। খারাপ লাগে সভাপতি হয়ে রেহাই পাই নাই তাহলে অন্যান্নদের কি অবস্থা বুঝতেই পারেন।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহেনারা পারবিন জানান, বাবুর কারনে অনেক বিতর্কিত হয়েছি। তাই আর নয় আজ থেকে তার কোন কথা শুনবো না, সে বাবু আমার জন্য মৃত।

উপজেলা আওয়ামিীলীগের সাধারন সম্পাদক আ.ক.ম রুহুল আমিন জানান, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি তার হাতে লাঞ্চিত হওয়া খুবই দুঃখ্যজনক। এখন আর চুপ করে থাকার সময় নাই। এ ধরনের দুস্কৃতিকারীর বিষয়ে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া সময়ের ব্যপার।

(এস/এসপি/মে ১৩, ২০২০)