সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : চলনবিল অধূষ্যিত সিরাজগঞ্জরে তাড়াশ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চড়ক মেলা, নওগাঁর শাহ শরীফ জিন্দানী (রঃ) বাৎসরিক ওরশ, প্রতি বছরের বৈশাখের তৃতীয় মঙ্গলবারে গুড়মা মেলা, বিনসাড়া বেহুলার চাঁদের মেলার মত বিভিন্ন তিথি পার্বণে এ রকম অনেক ধরনের সামাজিক লোক সংস্কৃতি করোনার কারণে বন্ধ রয়েছে।

প্রতি বছরের চলনবিলের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে জাঁক জমক পুর্ণ পরিবেশে শুরু হয় এ ধরনের উৎসব। মেলা উপলক্ষে এলাকায় সাজ সাজ রব পড়ে যায় বিভিন্ন গ্রামের পাড়া মহল্লায়। মেলা উপলক্ষ্যে নিয়ে আসা হয় নব দম্পত্তি মেয়ে -জামাইকে নাইওরে। মেলায় কেনা বেচা হয় স্বাদের ভিন্নতার জন্য নানা ধরনের ঝুড়ি, মিঠাই, মিস্টান্ন, আসবাব পত্র, গৃহস্থালী জিনিসপত্র, প্রসাধনী সামগ্রী, মাছ-মাংশ। পসড়া সাজিয়ে শত শত দোকানী বিকিকিনি শুরু করেছেন।

মেলায় আসা সব বয়সী নারী-পুরুষেরা দিনভর কেনাকাটার পাশাপাশি চলে খাওয়া দাওয়া পারিবারিক আড্ডা। কিন্ত খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, চলনবিল অঞ্চলে এ বছরে করোনার কারণে মেলা সহ এ ধরণের বিভিন্ন সামাজিক লোক উৎসব স্থগিত করা রয়েছে। যার ফলে ওই সকল মেলাকে ঘিরে জীবিকা নির্বাহ করা ব্যাবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির সন্মুখীন হয়েছেন বলে জানান ব্যাবসায়ী রিপন মাল।

আবার করনোর কারণে চলনবিলের ওই সকল মেলা না হওয়ায় সরকার এ বছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকেও বঞ্চিত এমনটাই বলেন রাশিদুল ইসলাম ।

চলনবিলের বিভিন্ন হাট বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হালখাতাও বন্ধ রয়েছে করোনা কারণে বলেন মেসার্স প্রার্থ এন্টারপ্রাইজের সার ব্যাবসায়ী রজত ঘোষ।

(এমএস/এসপি/মে ১৬, ২০২০)