সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলাতে অবৈধভাবে পুকুর খনন করে সড়ক দিয়ে মাটি বহন করার ফলে সামান্য বৃষ্টিতে সড়কগুলো দিয়ে চলাচল করা দুস্কর হয়ে পড়েছে। সড়কগুলো হঠাৎ কেউ দেখলে এটিকে চাষ দেয়া জমি মনে করবে। 

বুধবার ঘুর্নিঝড় আম্ফান এর প্রভাবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ায় তাড়াশ-সলঙ্গা ও তাড়াশ-নওগাঁ সড়ক যেন এখন মরন ফাঁদ হয়ে পড়েছে।

জানা যায়, উপজেলা জুড়ে ফসলি জমে কেটে পুকুর খননের এক মহোৎসব চলছে। প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেল-জরিমানা করলেও থেমে নেই পুকুর খননের মহোৎসব।

বুধবার সরজমিনে দেখা যায়, তাড়াশ সদর থেকে সলঙ্গা ও তাড়াশ থেকে নওগাঁ আঞ্চলিক পাকা সড়কের দুপাশে ছোট-বড় বেশ কয়েকটি পুকুর খনন করছেন প্রভাবশালীরা। আর পুকুরগুলোর মাটি এক্সাভেটর মেশিন দিয়ে ড্রাম ট্রাক দিয়ে বিক্রী করছে বিভিন্ন এলাকায়, ফলে পাকা সড়কে মাটি পড়ায় বৃষ্টিতে কাদাঁ হয়ে চলাচলের দুস্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

মুনসুর আলী নামের এক মটরসাইকেল যাত্রী বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় কাদা জমে যায়। এছাড়া ড্রামট্রাকের মাটি পড়ায় বৃষ্টির পানিতে কাঁদা হয়। ফলে এ রাস্তা দিয়ে গাড়িচলা তো দূরের কথা সাধারণ মানুষের হেঁটেচলাও কষ্টসাধ্য।

স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম জানান, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার মানুষের যাতায়াতের যেন কষ্টের কোনো শেষ নেই। রাস্তার দূরবস্থার কারণে ছেলেমেয়েদের স্কুলে ও তাড়াশ বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় যাওয়া কঠিন হয়ে যায়।

এলজিইডির তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী বাবলু মিয়া জানান, শুধু তাড়াশ সদর থেকে সলঙ্গা ও তাড়াশ থেকে নওগাঁ আঞ্চলিক পাকা সড়কই নয়। এ উপজেলার প্রায় অধিকাংশ সড়কই মাটি বহনকৃত ট্রাক নিয়ে যাওয়ায় অবস্থা খুব খারাপ হয়ে পড়েছে। আপনারা (সাংবাদিকরা) একটু উপজেলা প্রসাশনকে অবগত করেন, সেই সাথে আমিও অবগত করছি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।

(এমএস/এসপি/মে ২০, ২০২০)