স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর পুরান ঢাকার ধোলাইপাড়ের ডিপটি গলির মর্জিনার বাড়িতে পটকা মাছ খেয়ে দুই মামা ও দুই ভাগনের মৃত্যু হয়েছে।

এরা হলেন- শাহীন (২৮), সুজা (২৫), জুম্মন (১২) ও নবীন (৯)।

এ বিষয়ে প্রতিবেশী দুলাল জানান, পটকা মাছ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে একই পরিবারের পাঁচজনকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।

চিকিৎসকরা সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শাহীন, জুম্মন ও নবীনকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে মঙ্গলবার ভোর রাত চারটার দিকে ঘটনায় ৭০১ নম্বর ওয়ার্ডে নবীন ও জুম্মনের আরেক মামা সুজা মারা যান।

এদিকে, একই ঘটনায় নবীন ও জুম্মনের মা ফরিদা বেগম (৩০) গুরুতর অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে চিকিৎসাধীন আছেন।

ঢাকা মেডিকেলের পুলিশ ক্যাম্প ইন-চার্জ মোজাম্মেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

অপরদিকে, সরেজমিন দেখা যায়, ৫০২ নম্বর ওয়ার্ডে শুয়ে অসুস্থ শরীরে বার বার মূর্চ্ছা যাচ্ছেন ফরিদা বেগম। তখনও তিনি জানেন না যে, তার দুই সন্তান ও দুই ভাই পৃথিবীতে আর বেঁচে নেই।

তার সঙ্গে আসা প্রতিবেশীরা জানান, ফরিদা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা রাতের খাবার খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন।

তারা জানতে পারেন, রাতে খাওয়ার জন্য বাজার থেকে কিনে আনা পটকা মাছ রান্না করা হয়েছিল। সেটি খেয়েই সবাই এক সঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে প্রথমে তিনজন ও পরে একজন মারা যায়।

এদিকে, প্রতিবেশীরা ফরিদা বেগমকে বার বার তার সন্তান ও ভাইয়েরা বেঁচে আছেন, অন্য ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে সান্ত্বনা দিচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গে পুলিশের উপকমিশনার (এডিসি) মেহেদী হাসান বলেন, ঘটনা জানার পর থেকেই এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, পটকা মাছে বিষ থাকে জেনেও কেন তা বাজার থেকে কিনে খাওয়া হলো, কোথা থেকে কেনা হলো, কারো প্ররোচনায় কেনা হলো কিনা সেসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(ওএস/এইচআর/আগস্ট ১২, ২০১৪)